দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেশ কিছু খাবার রয়েছে যা মাইগ্রেনের ব্যথা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। তেমনই আবার কিছু খাবার ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে।
পরিবারে কারও মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে এই সমস্যার ঝুঁকি আরও বেশি থাকে। কোন ধরনের খাবার ডায়েটে রাখা দরকার?
প্রচণ্ড মাথা ব্যথা, সঙ্গে যদি থাকে বমি বমি ভাব কিংবা মাথার এক পাশ থেকে শুরু হয়ে গোটা মাথায় ছড়িয়ে পড়া অসম্ভব যন্ত্রণা বা সেইসঙ্গে থাকে জ্বর। এই উপসর্গগুলো মাইগ্রেনের রোগীদের কাছে বেশ পরিচিত বলা যায়। একটানা বেশ ক’দিন থাকার কারণে এই যন্ত্রণা শরীরকে কাবু করে ফেলে। তবে কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসাও নেই, যা কমিয়ে দিতে পারবে এই মাইগ্রেন। তবে জীবনধারায় কিছু পরিবর্তন ও স্বাস্থ্যকর খাদ্য অনেকটা সাহায্য করতে পারে মাইগ্রেনের সঙ্গে লড়ার ক্ষেত্রে।
বেশ কিছু খাবার রয়েছে, যা মাইগ্রেনের যন্ত্রণা আরও বাড়িয়ে দেয়। আবার কিছু খাবার মাইগ্রেনের আক্রমণ কমাতেও সাহায্য করে। এই অসুখ যেমন পরিবারে কারও থাকলে হয়ে থাকে। কারও আবার হরমোন বা স্নায়ুর সমস্যার কারণেও দেখা দেয় এই রোগটি।
মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে কোন ধরনের খাবার ডায়েটে রাখতে হবে:
বাদাম
বাদামে ম্যাগনেশিয়াম থাকে। সেইসঙ্গে থাকে বিভিন্ন ধরনের উপাদান। এইসব উপাদান মাথা ব্যথা কমাতেও সাহায্য করে। যে কারণে কাজের ফাঁকে মাঝে-মধ্যেই এই স্বাস্থ্যকর খাবার খেয়ে নেওয়াই ভালো। কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, আখরোট খাওয়ার অভ্যাস করা যেতে পারে।
কলা
অনেক সময় খালি পেটে থাকলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া (রক্তে শর্করা মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়েও কমে যাওয়া) হয়ে মাথাও ধরে যেতে পারে। সেটিই আবার মাইগ্রেনের ব্যথায় পরিণত হতে পারে। চটজলদি কী জিনিস খেলে, এমন পরিস্থিতি এড়ানো যাবে। সেজন্য সেরা খাবার হলো কলা। ম্যাগনেশিয়ামের ভরপুর এই ফল খেলে খুব দ্রুত এনার্জি পাবেন এবং মাইগ্রেনের সম্ভাবনাও কমবে।
তরমুজ
তরমুজ বেশি খেলে মাইগ্রেন অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে যায় সেটি আমাদের অনেকেরই জানা। তবে শরীর হাইড্রেটেড রাখতে শুধু পানি খাওয়াই যথেষ্ট নয়। সঙ্গে এমন কিছু খাবার খেতে হবে যাতে পানির পরিমাণ বেশি। তরমুজের মতো ফলে ৯২ শতাংশ পানি থাকে। তাই খিদে পেলে প্যাকেটের স্ন্যাক্স বের না খেয়ে তরমুজ খেতে পারেন।
পানি
বহু শারীরিক সমস্যার সমাধান করতে পারে পানি। মাইগ্রেনের ক্ষেত্রেও সেই কথায় সত্যি। নিজের শরীরে পানির মাত্রা যথেষ্ট পরিমাণ রাখা প্রয়োজন। দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি খেলে এই অসুখ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on আগস্ট ৮, ২০২৩ 5:20 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…