দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেক সময় নাক বন্ধ হয়ে থাকার সমস্যা দেখা দেয়। তখন বন্ধ নাক খোলার জন্য অনেকেই নানা রকম ড্রপ ব্যবহার করেন। তাতে যে সব সময় কাজ হয়, তা কিন্তু নয়। বরং বন্ধ নাক খোলার ঘরোয়া কিছু উপায়ও রয়েছে। জেনে নিন সেই বিষয়গুলো।
নাক বন্ধের এই সমস্যাটি সাধারণ শীতকালেই বেশি হয়। তবে অন্য সময়ও দেখা যায় এই সমস্যা। তবে শুধু শীতকালই নয়, বর্ষাতেও এই ধরনের সমস্যার বাড়বাড়ন্ত হয়ে থাকে। এই সময় ঠাণ্ডা লেগে জ্বর, সর্দি-কাশি নিয়ে ভুগছেন অনেকেই। সেইসঙ্গে নাক বন্ধের সমস্যা তো আছেই। সবচেয়ে বেশি অস্বস্তি হয় এই বিষয়টি নিয়ে। নাক বন্ধ হয়ে গেলে কোনও কাজেই মন দেওয়া যায় না। খাওয়া-দাওয়াতেও অরুচি হয়। শ্বাস নিতেও সমস্যা হয়। অনেকেই বন্ধ নাক খোলার জন্য নানা রকম ড্রপও ব্যবহার করেন। তাতে যে সব সময়ই সুফল পাওয়া যায়, তাও কিন্তু নয়। বরং বন্ধ নাক খোলার ঘরোয়া কিছু উপায়ও রয়েছে। আজ জেনে নিন সেগুলো।
রসুন
প্রথমে এক কাপ পানিতে ২/৩ কোয়া রসুন ফুটিয়ে নিন। এর সঙ্গে মেশান আধা চামচ হলুদ গুঁড়ো। এই ফোটানো পানি খেলে নাক পরিষ্কার হয়ে যাবে। কাঁচা রসুন চিবিয়ে খেলেও উপকার পেতে পারেন।
অ্যাপল সিডার ভিনেগার
এক কাপ গরম পানিতে দুই টেবিল চামচ ভিনেগার এবং এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে খেলে মিউকাস পরিষ্কার হয়ে যেতে পারে। দিনে ২ থেকে ৩ বার এটি খান। সর্দি সম্পূর্ণভাবে কমে যাবে।
গরম পানি
গরম পানিতে ভাপ নিতে পারেন। পরিষ্কার কাপড় গরম পানিতে ভিজিয়ে মুখের উপর ১০ হতে ১৫ মিনিট চাপা দিয়ে রাখুন। গরম পানিতে গোসল করলেও উপকার পেতে পারেন।
গোল মরিচ
বন্ধ নাক খুলতে অব্যর্থ হতে পারে এই গোল মরিচ। হাতের তালুতে অল্প একটু গোল মরিচ গুঁড়ো নিয়ে সামান্য সর্ষের তেল দিতে হবে। তারপর আঙুলে লাগিয়ে নাকের কাছে ধরতে হবে। এতে অবশ্য হাঁচি হবে। সেই সঙ্গে নাক, মাথা পরিষ্কার হয়ে ঝরঝরে হয়ে যাবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org