দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কর্মচারীদের পাওনা পরিশোধ না করার অভিযোগে দক্ষিণ ভারতীয় অভিনেত্রী এবং রাজনীতিবিদ জয়া প্রদাকে ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন চেন্নাইয়ের এক আদালত। সেইসঙ্গে তাঁকে ৫ হাজার রুপি জরিমানাও করা হয়।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, বেশ কয়েক বছর পূর্বে চেন্নাইয়ে একটি সিনেমা হল কেনেন জয়া। সহযোগী ছিলেন রাম এবং রাজা। তবে টানা লোকসান হওয়ায় ওই হলটি তারা বন্ধও করে দেন। তারপরই জয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, যে কর্মীরা ওই সময় সেখানে কর্মরত ছিলেন, তাদের বেতন থেকে কেটে নেওয়া স্বাস্থ্যবিমার টাকা জমা দেওয়া হয়নি। তারপর সরকারিভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছিলো। কর্মীদের সেই অভিযোগের ভিত্তিতে জয়া, রাম ও রাজার বিরুদ্ধে চেন্নাইয়ের এগমোর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হয়।
জয়া ও তার সহযোগীরা ওই টাকা ফেরত দিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে মামলা তুলে নেওয়ার অনুরোধ করেন। তবে সেই আবেদন খারিজ করে আদালত গল শুক্রবার ওই মামলার সাজা ঘোষণা করেন। জয়া প্রদা বর্তমানে ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত।
উল্লেখ্য, গত শতকের সত্তর, আশি ও নব্বইয়ের দশকে তেলেগু এবং হিন্দি সিনেমার অন্যতম আলোচিত মুখ ছিলেন জয়া প্রদা। হিন্দি ও তেলুগু মিলিয়ে প্রায় ৩০০টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান জয়া। যারমধ্যে ‘শ্রী শ্রী মুবা’, ‘সারগাম’, ‘সিন্দুর’, ‘মা’, ‘আখেরি রাস্তা’, ‘আজ কা অর্জুন’ ছিলো ইত্যাদি তার জনপ্রিয় সিনেমা। অমিতাভ বচ্চন, এনটি রমা রাওয়ের মতো তারকাদের সঙ্গেও অভিনয় করেছেন তিনি। তেলেগু, হিন্দি ছাড়াও তামিল, কন্নড়, মালয়ালম, বাংলা এবং মারাঠি সিনেমাতেও অভিনয় করেন জয়া।
তিনি যখন অভিনয় ক্যারিয়ারের শীর্ষে ছিলেন- তখনই তিনি রাজনীতিতে নাম লেখান। বর্তমানে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে যুক্ত। ২০০৪ হতে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ভারতের উত্তর প্রদেশের রামপুর থেকে তিনি সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org