দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সপ্তাহে মাত্র ২ দিন ব্যবহার করতে পারেন কয়েকটি ভেষজ উপাদান। এইসব ভেষজ আপনার চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। অ্যালোভেরা, রোজমেরি এই তালিকাতেই রয়েছে।
চুলের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্যে নিয়মিত কয়েকটি নিয়ম মেনে যত্ন নেওয়া দরকার। বিভিন্ন হেয়ার প্রোডাক্ট যেমন চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে, ঠিক তেমনি নির্দিষ্ট কিছু ভেষজের গুণে চুলের ঘনত্ব এবং বৃদ্ধি হয় দেখার মতো। এমন কিছু ভেষজের উল্লেখ করা হলো। তাই ঝটপট জেনে নিন চলের যত্নে এইসব ভেষজ ব্য়বহারের নিয়ম।
অ্যালোভেরা
ঘৃতকুমারী কিংবা অ্যালোভেরার নির্যাস বছরের পর বছর ধরেই হেয়ার কেয়ার রুটিনে ব্যবহার হয়ে আসছে। চুলের বৃদ্ধিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। স্ক্যাল্পের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এটি। আপনি চুল ভালো রাখতে অ্যালোভেরার নির্যাসও ব্যবহার করা শুরু করুন আজ থেকে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
প্রথমে একটি পাত্রে ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরা জেল নিয়ে নিন। এর সঙ্গে সামান্য পরিমাণে গোলাপ জল মিশিয়ে নিন, এবার সেই মিশ্রণ আপনার স্ক্যাল্পে লাগিয়ে ২ ঘণ্টা পর শ্য়াম্পু করে ফেলুন। এতে উপকার পাবেন।
রোজমেরি
রোজমেরি চুলের যত্নে খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যে, এই প্রাকৃতিক উপাদান চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। এমনকী অ্য়ান্ড্রোজেনিক অ্যালোপেসিয়া সারিয়ে তুলতেও এর কার্যকরী ভূমিকা বিদ্যমান।
আপনি ইচ্ছে করলে রোজমেরি বিভিন্ন উপায়ে চুলে ব্যবহার করতে পারেন। তবে রোজমেরি এসেনশিয়াল অয়েলই চুলের জন্যে সবথেকে বেশি উপকারী।
জবা
যেমন জবা ফুল ও পাতা আপনি চুলের যত্নে ব্যবহার করতেই পারেন। এই ফুল এবং পাতায় উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট স্ক্যাল্পের সুস্বাস্থ্য ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেইসঙ্গে চুলের সৌন্দর্যও বৃদ্ধি করে।
জবায় উপস্থিত হাইড্রোঅ্যালকোহলিক নির্যাস চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, সেই প্রমাণ পাওয়া গেছে গবেষণায়। এমনকী জবার পাতাও চুলের বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। জবার তেল কিংবা হেয়ার মাস্কও ব্যবহার করতে পারেন আপনি ইচ্ছে করলে।
জুঁই
জুঁই ফুলে রয়েছে অ্য়ান্টিমাইক্রোবিয়াল ও কন্ডিশনিং উপাদান। এটি আপনার চুলের স্বাস্থ্য ফেরাতে নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। এইক্ষেত্রে জুঁইয়ের নির্যাস আপনি হেয়ার টনিক হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।
চুলের অকালপক্কতা রোধ করতেও সাহায্য করে এই ফুল। এমনকী জুঁইয়ের গুণে চুল পাতলা হয়ে যাওয়ার কিংবা টাক পড়ার আশঙ্কাও কমে যাবে।
সপ্তাহে ক’দিন ব্যবহার করতে হবে?
এই প্রবন্ধে উল্লেখিত প্রতিটি ভেষজ উপাদানই আপনি সপ্তাহে ২-৩ দিন ব্যবহার করতেই পারেন। তাহলে সুফল পাওয়া যাবে।
কাদের ব্যবহার করা নিষেধ?
এক কথায় বলতে হয় সবাই ব্যবহার করতে পারেন। তবে আপনার স্ক্যাল্পে কোনও সংক্রমণ থাকলে কিংবা চুলের কোনও বিশেষ চিকিৎসা চললে এইসব ভেষজ না ব্যবহার করাই ভালো।
চুলের ঘনত্ব বাড়ানোর উপায়
এই ভেষজগুলো নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। সেইসঙ্গে সাধারণ হেয়ার কেয়ার রুটিনও মেনে চলতে হবে আপনাকেই। তাই চুলের ঘের বাড়বে খুব অল্প দিনেই। তথ্যসূত্র: এই সময়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org