দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েই চলছে আত্মহত্যার সংখ্যা। জানা যায়, দেশটিতে ২০২২ সালে অর্ধলক্ষাধিক আত্মহত্যা করেছেন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী জানা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিদিন গড়ে আত্মহত্যা করে ১৩৪ দশমিক ৪৭ জনের বেশি মানুষ। ১০ আগস্ট দেশটির সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এই তথ্য নিশ্চিত করে।
সিডিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শুধুমাত্র ২০২২ সালেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৯ হাজার ৪৪৯ নাগরিক আত্মহত্যা করেছেন। দেশটির ইতিহাসে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। ২০১৯ এবং ২০২০ সালেও যুক্তরাষ্ট্রে আত্মহত্যার প্রবণতা বেশ কম ছিল। ২০২১-২২ সাল পর্যন্ত ৬৫ বছরের বেশি বয়সী মানুষদের আত্মহত্যার হার ৮ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে। ওই সময়ের মধ্যে ১০ হাজার ৪৩৩ জন আত্মহত্যা করেন। অপরদিকে, ১০-২৪ বছর বয়সীদের মধ্যে আত্মহত্যার হার ৮ দশমিক ৪ শতাংশ কমেছে। ওই সময়কালে আত্মহত্যা করেছে ৬ হাজার ৫২৯ শিশু, কিশোর এবং তরুণ।
গবেষণায় আরও দেখা যায়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্কুল পড়ুয়া কিশোরী মেয়েদের আত্মহত্যার প্রবণতা সবচেয়ে বেশি। প্রায় ৫৭ শতাংশ কিশোরী আত্মহত্যার কারণ হিসেবে হতাশাকেই দায়ী করেছে। সবচেয়ে বেশি আত্মহত্যার প্রবণতা দেখা যায়, ২৪-৪৪ বছর বয়সীদের মধ্যে। ওই বয়সী ১৬ হাজার ৮৪৩ জন গত বছর আত্মহত্যা করেন। এটি আগের বছরের তুলনায় শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বেশি।
দেশটির সিডিসির স্বাস্থ্য এবং মানবসেবা সেক্রেটারি জেভিয়ের বেসেররা এক বিবৃতিতে উল্লেখ করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি ১০ জনের ৯ জনই বিশ্বাস করেন যে, তারা মানসিক সমস্যার মধ্যে আছেন। তারা সেই সমস্যা থেকেই আত্মহত্যা করে থাকেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org