দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বার বার ফ্লপ ছবির কারণে ৪ বছরের বেশি সময় সিনেমা থেকে অনেক দূরে ছিলেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। এ বছরে ‘পাঠান’ নিয়ে ফিরেই বক্স অফিসে কাঁপন ধরান এই তারকা। ক্যারিয়ারে সবচেয়ে বেশি আয় করা সিনেমার তকমাও পেলেন শাহরুখ!
এবার ‘পাঠান’ এর এই সাফল্যের কারণে কিছুটা চাপে রয়েছেন শাহরুখ! যে কারণে পরবর্তী সিনেমা ‘জওয়ান’ নিয়ে কোনো ছাড় দিতে একেবারেই নারাজ এই অভিনেতা এবং প্রযোজক। তাইতো ‘জওয়ান’ হতে যাচ্ছে শাহরুখ খানের ক্যারিয়ারে এ পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যয়বহুল সিনেমা!
ভারতীয় একটি অনলাইন পোর্টাল ‘জওয়ান’ এর বাজেটের বিষয়টি প্রকাশ করেছে। সেখান থেকে জানা যায় যে, ‘জওয়ান’ এর মোট বাজেট হবে ৩০০ কোটি রুপি! যা হাজার কোটি রুপি আয় করা ‘পাঠান’ এর বাজেট থেকে ৫০ কোটি রুপি বেশি!
সিনেমা সংশ্লিষ্টরা বলেছেন যে, ‘পাঠান’ দর্শকের প্রত্যাশার মাত্রা যেনো আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। সে কারণে শাহরুখ চেয়েছেন, ‘জওয়ান’কে আরও বড় ক্যানভাসে বড় পর্দায় উপস্থাপন করার জন্য! ‘পাঠান’ এর ক্ষেত্রে অনেক দৃশ্য গ্রিন স্ক্রিন ব্যবহার করা হয়, তবে ‘জওয়ান’ এ তা করা হয়নি। বরং বড় বড় সেট নির্মাণ করে হয়েছে এর শুটিং করার জন্য। এই ছবির সমস্ত অ্যাকশন দৃশ্যও শুট করা হয়েছে সেট করেই! এর প্রধান কারণই হলো, দৃশ্যগুলো যেনো রিয়েলেস্টিক হয়!
ভক্তদের সেরা অভিজ্ঞতা দিতে ‘জওয়ান’ এ কোনো ছাড় দেননি শাহরুখ এবং এটলি। প্রয়োজন মতো অর্থ ব্যয় করেছেন তারা। তাই অনেকেই মনে করছেন যে, সেরা গল্পের পাশাপাশি সেরা ভিজ্যুয়াল পেতে চলেছে দর্শকরা।
আগামী ৭ সেপ্টেম্বর মুক্তির কথা রয়েছে ‘জওয়ান’। এই সিনেমায় শাহরুখ ছাড়াও রয়েছেন নয়নতারা, সানিয়া মালহোত্রা, বিজয় সেতুপতি, প্রিয়মণি প্রমুখ। ক্যামিও চরিত্রে দেখা যাবে দীপিকা পাড়ুকোনকে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org