বেশি বয়সেও সন্তানধারণে সমস্যা সমাধান হবে যোগাসনে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান সময়ে অনেক মেয়েই বেশি বয়সে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়। বন্ধ্যাত্বের সমস্যা কমাতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার পাশাপাশি করতে হবে কয়েকটি যোগাসন।

অনেকেই পড়াশোনার কারণে, আবার কোনো মেয়ে পেশাগত কারণের জন্য- বেশি বয়সে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। সন্তান নেওয়ার পরিকল্পনা তাদের আরও পরে হয়ে থাকে। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে মহিলাদের প্রজনন ক্ষমতা কমে যায় সেটি ঠিক। তার উপরে রয়েছে কর্মব্যস্ত জীবনে বেড়ে চলা মানসিক চাপ, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, খাদ্যাভাসে অনিয়ম- নানা কারণে অনেকের সন্তানধারণের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়। তখন চিকিৎসকের কাছে যাওয়া ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। এই সমস্যা থেকে রেহাই পেতে নিয়ম করে যোগাসন অভ্যাস করতে পারেন বেশি বয়সে বিয়ে করা মহিলারা। আজ জেনে নিন, চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ও কোন কোন যোগাসন নিয়ম করে অভ্যাস করলে সন্তানধারণের ক্ষমতা বেড়ে যেতে পারে।

ভুজঙ্গাসন

Related Post

প্রথমেই মেঝেতে উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। তারপর হাতের তালু মেঝের উপর ভর দিয়ে পাঁজরের দু’পাশে রাখতে হবে। এখন কোমর থেকে পা পর্যন্ত মাটিতে রেখে হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে বাকি শরীর ধীরে ধীরে ঠিক উপরের দিকে ঠেলে তুলুন। ঘাড় উঠিয়ে এবার উপরে সিলিংয়ের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে ২০-৩০ সেকেন্ড থাকার পর আবারও শুয়ে পড়ুন। দিনে অন্তত পক্ষে ৫ বার এই আসনটি করুন।

সর্বাঙ্গাসন

প্রথমেই চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। তারপর পা দু’টি জোড়া করে উপরে তুলুন। এবার দু’হাতের তালু দিয়ে পিঠ এমনভাবে ঠেলে ধরতে হবে, যাতে ঘাড় থেকে পা পর্যন্ত এক সরলরেখাতে থাকে। থুতনিটি বুকের সঙ্গে লাগিয়ে রাখতে হবে। আর দৃষ্টি থাকবে পায়ের আঙুলের দিকে। স্বাভাবিকভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিয়ে মনে মনে ৩০ পর্যন্ত গুনুন। শবাসনেই বিশ্রাম নিন। একটু কঠিন হলেও যৌবন ধরে রাখতে এই আসনটি ভীষণ উপকারী। কোনও কিছু না ধরে করতে যদি অসুবিধা হয় তাহলে, দেওয়ালের সাহায্য নিয়ে এই আসনটি করতে পারেন।

পশ্চিমত্তাসন

আপনার পা সামনের দিকে ছড়িয়ে, হাত দু’পাশে রেখে বসে পড়ুন। তারপর সামনের দিকে ঝুঁকে হাত দিয়ে পায়ের পাতা স্পর্শ করুন। এবার মাথাও নামিয়ে হাঁটুর কাছাকাছি নিয়ে আসুন। এই ভঙ্গিতে মিনিট খানেক থাকার পর আবার বসার ভঙ্গিতে ফিরে আসুন। মা হতে চাইলে নিয়মিত এই আসনটি করলে উপকার পেতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on আগস্ট ২৭, ২০২৩ 9:21 পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

সন্তানের হাতে যেসব সেটিংস বদলে দেবেন স্মার্টফোন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আজকাল ৮ থেকে ৮০ সবার হাতেই স্মার্টফোন। এর সুবিধা যেমন…

% দিন আগে

জোভান-তিশার নতুন নাটক ‘কাপল অব দ্য ক্যাম্পাস’

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমান প্রজন্মের তারকা ফারহান আহমেদ জোভান এবং তানজিন তিশা জুটি…

% দিন আগে

তুরস্কে এক হাজারের বেশি হামাস যোদ্ধা চিকিৎসা গ্রহণ করছে: এরদোয়ান

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন যে, ‘ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী…

% দিন আগে

এই ছবিতে লুকিয়ে আছে খরগোশ: আপনি কী সেটি খুঁজে বের করতে পারবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে ছবিটি আপনারা দেখছেন সেটি একটি জঙ্গলের রাস্তার। সেই রাস্তায়…

% দিন আগে

এক অসাধারণ দৃশ্য: যেনো শিল্পীর তুলিতে আঁকা দৃশ্য!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১…

% দিন আগে

রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে পাকা আম খাবেন কীভাবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি পাকা আম খেলে রক্ষে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।…

% দিন আগে