দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদত বার্ষিকী ভিন্নভাবে পালন করলো বেসিস। ২৫ আগস্ট ২০২৩, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, আগারগাঁও, ঢাকাতে বঙ্গবন্ধুর জীবন এবং কর্মের উপর গুণিজনদের আলোচনার পাশাপাশি কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার ইমদাদুল হক মিলনের গল্প অবলম্বনে, রেজানুর রহমানের নাট্যরূপ ও নির্দেশনায় নাট্যদল এথিক -এর প্রযোজনায় ‘নেতা যে রাতে নিহত হলেন’ নাটকটি মঞ্চায়ন করা হয়।
এই ভিন্নধর্মী আয়োজনে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ- এর সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, এমপি, বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক এবং নাট্যকার ইমদাদুল হক মিলন, নাটকটির নির্দেশক রেজানুর রহমান। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বেসিসের সভাপতি রাসেল টি আহমেদ।
নাটক পরবর্তী আলোচনায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমি অবাক যে বেসিসের মতো তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক অ্যাসোসিয়েশন বঙ্গবন্ধুর শাহাদত বার্ষিকী স্মরণ করছে সাংস্কৃতিক আঙ্গিকে। নিঃসন্দেহে এই প্রয়াসটি প্রশংসার দাবী রাখে। যেখানে তারা চাইলেই শুধুমাত্র একটি আলোচনা অনুষ্ঠান করে দিবসটি পালন করতে পারতেন। বেসিসের তো সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করার কথা ছিল, তবে বেসিস আজকে এইটা প্রমাণ করেছে বাংলাদেশের জনগণের সক্ষমতার জন্য নির্দিষ্ট কোনো সংজ্ঞা দেওয়ার দরকার হয় না। বাংলাদেশে সবচেয়ে শক্তিশালী ভিত হচ্ছে সাংস্কৃতিক অঙ্গন। বেসিসকে ধন্যবাদ বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করার ক্ষেত্রে এমন একটি ব্যতিক্রমী ও অসাধারণ সুন্দর উদ্যোগের জন্য যা সচরাচর তথ্যপ্রযুক্তিখাতে এভাবে কেউ ভাবে না। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ গড়তে হলে তথ্যপ্রযুক্তিখাত, সাংস্কৃতিক অঙ্গনসহ সকল খাতকে হাতে হাত রেখে একসঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ- এর সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল বলেন, বঙ্গবন্ধুর জীবন এবং কর্ম নিয়ে এমন সুন্দর একটি নাটক মঞ্চায়ন করার জন্য বেসিস এবং নাট্যদল এথিক কে অসংখ্য ধন্যবাদ। আমি চাই এই নাটকটি পোঁছে যাক আগামী প্রজন্মের কাছে, বাংলাদেশের গণমানুষের কাছে যেনো তারা বঙ্গবন্ধুকে জানতে পারে, চর্চা করতে পারে বঙ্গবন্ধুকে।
বিশিষ্ট কথাসাহিত্যিক ও নাট্যকার ইমদাদুল হক মিলন বলেন, ‘নেতা যে রাতে নিহত হলেন’ গল্পটি আমি লিখেছিলাম ১৯৯০ সালে। সেসময়ে আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে বাহবা দিয়েছিলেন, যেখান থেকে আমি আরও সাহস পেয়েছিলাম এবং অনুপ্রাণিত হয়েছিলাম। এই নাটকটি আমার কাছে যেমন আবেগের তেমন অনুপ্রেরণার।
অনুষ্ঠানে বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকে আসলে শুধুমাত্র একদিন ভালবাসলে চলবে না, বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসতে হবে প্রতিদিন, বঙ্গবন্ধুকে চর্চা করতে হবে প্রতিদিন। নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুকে পরিচয় করিয়ে দিলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চর্চা বাড়বে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে। বেসিস ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের সাথে ওতপ্রোতভাবে একসঙ্গে কাজ করছে কিন্তু আজকের ব্যতিক্রমী উদ্যোগে তথা এই নাটকটি মঞ্চায়নের উদ্দ্যেশ্য হলো, আমাদের বেসিস পরিবারের সবার মাঝে সাংস্কৃতিক চর্চার পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর নীতি এবং আদর্শকে ছড়িয়ে দেওয়া।
উল্লেখ্য, ‘নেতা যে রাতে নিহত হলেন’ নাটকের মূল চরিত্রে রতন মাঝির ভূমিকায় অভিনয় করেছেন সুকর্ণ হাসান। অন্যান্য চরিত্রে আছেন– মনি কানচন, মিন্টু সরদার, হাসান রিজভী, আজিম উদ্দীন, মনিরুল হক ঝলক, তরিকুল রিমন, এসপি খান শাওন, রেজিনা রুনি, মাহফুজ আফনান অপ্সরা, প্রদীপ কুমার ও রুবেল। এই নাটকটি এথিকের ১২তম প্রযোজনা। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org