দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এইচএসসি শিক্ষার্থীদের জন্য ঢাকায় ইউসিবি’র মাধ্যমে সরাসরি এলএসই পরিচালিত ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের ডিগ্রি লাভের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশে ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের এক্সক্লুসিভ পার্টনার ইউনিভার্সাল কলেজ বাংলাদেশ (ইউসিবি) ২৬ আগস্ট ওপেন ডে শীর্ষক এক আয়োজন করে, যাতে গেস্ট অফ অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকসের ড. জেমস অ্যাবডে। রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ইউসিবি ক্যাম্পাসে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন অসংখ্য তরুণ মেধাবী শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানে আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে ইউসিবি’তে চালু হতে যাওয়া ৩ বছর মেয়াদী পূর্ণাঙ্গ ইউকে ডিগ্রি প্রোগ্রাম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।
ওপেন ডে’র আয়োজনে শিক্ষার্থীরা ইউসিবি’তে একাউন্টিং এন্ড ফিন্যান্স, বিজনেস এন্ড ম্যানেজমেন্ট, ইকোনমিকস এবং ফিন্যান্সের উপর বিএসসি ডিগ্রি নিয়ে পড়াশোনার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারেন, যার সুফল ইতিমধ্যেই অনেক শিক্ষার্থী তাদের ক্যারিয়ারে উপভোগ করছেন। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকসের প্রাতিষ্ঠানিক দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশে এই ডিগ্রিগুলো পরিচালিত হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা দেশে থেকেই ইউসিবি’র মাধ্যমে তিন বছরে যুক্তরাজ্যের ডিগ্রি অর্জন করতে পারবেন। ইউসিবি বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনুমোদিত প্রথম ইন্টারন্যাশনাল এডুকেশন প্রোভাইডার, যারা দেশে ও/এএস/এ লেভেলস ও এইচএসসি সম্পন্নকারী শিক্ষার্থীদের জন্য ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনে উচ্চ শিক্ষা প্রোগ্রামে যুক্ত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি করছে।
অনুষ্ঠানে লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকস এন্ড পলিটিক্সের ড. জেমস অ্যাবডে’কে স্বাগত জানান ইউসিবি’র প্রেসিডেন্ট এবং প্রভোস্ট প্রফেসর ড. হিউ গিল। তিনি বলেন যে, “দেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয় স্বীকৃত প্রথম ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রোগ্রাম সুবিধাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে আমাদের লক্ষ্য দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীদের সামনে ব্যয়সাশ্রয়ী উপায়ে বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের পথ গড়ে দেওয়া। ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের সহযোগিতায় ইউসিবি একান্ত প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, যাতে দেশে বিশ্বমানের উন্নত মানব সম্পদ গড়ে ওঠে এবং বাংলাদেশ দ্রুত উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশে রূপ নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করে। আমরা জাতীয় শিক্ষাক্রম ও আন্তর্জাতিক শিক্ষাক্রম– এই দুই ধারার শিক্ষার্থীদের জন্যই সেরা মানের প্রোগ্রাম নিয়ে এসেছি, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকগণ একটি সুন্দর ভবিষ্যত গড়ার পথে ব্যয়সাশ্রয়ী উপায়ে এগোতে পারবেন। আশা করছি, ওপেন ডে’র এই আয়োজন দেশের তরুণদেরকে, বিশেষত জাতীয় শিক্ষাক্রমের আওতাধীন শিক্ষার্থীদেরকে ইউসিবি’র হাত ধরে ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে অনুপ্রাণিত করেছে”।
লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকসে ইউওএল প্রোগ্রামসের অ্যাসোসিয়েট অ্যাকাডেমিক ডিরেক্টর ড. জেমস অ্যাবডে বলেন, “এলএসই’র দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশে এই প্রথম ইউওএল প্রোগ্রাম পরিচালনা করছে ইউসিবি।
ঢাকায় তাদের আয়োজনে যুক্ত হতে পেরে আমি সত্যিই আনন্দিত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে থাকা মেধাবীদেরকে নিজ দেশে বসেই এলএসই প্রণীত কারিকুলামে নিজেদের প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতাকে শানিত করতে সহযোগীতার লক্ষ্যে আমরা যে উদ্যোগ নিয়েছি, এটি নিঃসন্দেহে সেটিকে আরও এক ধাপ এগিয়ে নেবে। আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে স্নাতক সম্পন্নকারী তরুণরা পরবর্তীতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সুনামের সঙ্গে ক্যারিয়ার গড়েছেন। অনেকেই এলএসই বা বিশ্বের অন্যান্য খ্যাতনামা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিও অর্জন করেছেন। শিক্ষার্থীদের মেধা এবং সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশে সহযোগী হতে পেরে আমরাও গর্বিত”। তিনি আরও বলেন, “আমার এবং আমার লন্ডনের সহকর্মীবৃন্দের পক্ষ থেকে ইউসিবি’কে অভিনন্দন। বাংলাদেশে উদ্ভাবনী এবং সাফল্যের সঙ্গে তারা চমৎকার সব প্রোগ্রাম পরিচালনা করে যাচ্ছে, যা এইচএসসি পাস শিক্ষার্থীদেরকে দেশে বসেই ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনে পড়তে অনুপ্রাণিত করছে”।
অনুষ্ঠান চলাকালীন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকগণ ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনে ভর্তি এবং অধ্যয়ন সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশ্ন উপস্থাপন করেন। উপস্থিত অনুষদ সদস্যবৃন্দ তাদের প্রশ্নের উত্তর দানের পাশাপাশি সেরা মানের শিক্ষা গ্রহণ এবং উন্নত ক্যারিয়ার গঠনের জন্য ইউসিবি’তে ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের প্রোগ্রামে ভর্তি শিক্ষার্থীরা যে ভিন্ন ভিন্ন এডুকেশন পাথওয়ে এবং ডিগ্রির সুবিধা লাভ করেন, সে সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেন। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা ইউসিবি’র অনন্য মানের ক্যাম্পাস ঘুরে দেখার ও ড. জেমস অ্যাবডের সঙ্গে সরাসরি আলাপচারিতার সুযোগ পান।
প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, ইউসিবি’র ডিন অফ অ্যাকাডেমিক অ্যাফেয়ার্স, বলেন, “শিক্ষার্থীদেরকে দেশে থেকেই ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের মতো আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে উচ্চশিক্ষা লাভের সুযোগ দিচ্ছে ইউসিবি। দেশের যে কোনো স্কুল ও কারিকুলামের আওতাধীন শিক্ষার্থীরা এখন ঢাকাস্থ ইউসিবি ক্যাম্পাসের মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের এই প্রসিদ্ধ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ডিগ্রি অর্জনের সুবর্ণ সুযোগকে কাজে লাগাতে পারেন। আশা করছি আমাদের এই যাত্রায় অনেক মেধাবী তরুণদের অংশগ্রহণ দেখতে পাবো”।
বাংলাদেশে ইউসিবি পরিচালিত ইউনিভার্সিটি অফ লন্ডনের প্রোগ্রামগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন – https://www.ucbbd.org
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org