দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৩ সালে বাংলাদেশ থেকে কমনওয়েলথ বৃত্তিপ্রাপ্তদের জন্য একটি প্রি- ডিপারচার সেশন আয়োজন করে ব্রিটিশ কাউন্সিল। গতকাল (২৮ আগস্ট) ব্রিটিশ হাই-কমিশনারের বাসভবনে এই সেশন আয়োজন করা হয়।
ইউনিভার্সিটি অব অক্সফোর্ড, ইউনিভার্সিটি অব ক্যামব্রিজ, ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন, ইউনিভার্সিটি অব ওয়ারউইক, ইউনিভার্সিটি অব এডিনবার্গসহ যুক্তরাজ্যের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বছর বাংলাদেশ থেকে ২৪ জন এই বৃত্তি পেয়েছেন। কমনওয়েলথ বৃত্তির প্রতিটি স্কিম কঠোর প্রতিযোগিতামূলক ও প্রার্থীদের অসামান্য অ্যাকাডেমিক রেকর্ড ও আবেদনই এই সকল স্কিমে তাদের বৃত্তি লাভে সফলতা এনে দিতে সহায়তা করে।
অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে বৃত্তিপ্রাপ্তদের সফলতা উদযাপন করা হয় ও তারা কমনওয়েলথ স্কলারশিপ অ্যালামনাইদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় তথ্য জানার এবং পরামর্শ নেওয়ার সুযোগ পান, যেনো যুক্তরাজ্যে তাদের মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়। অনুষ্ঠানটিতে কমনওয়েলথ বৃত্তি কর্মসূচির ইতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে জানানো হয়।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, “কমনওয়েলথের প্রতি যুক্তরাজ্যের অঙ্গীকারের অংশ হিসেবে প্রতিবছরই প্রায় ৮শ’ শিক্ষার্থীকে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জনের সুযোগ দেওয়া হয়। আমি এই বছর কমনওয়েলথ স্কলারশিপ প্রাপ্ত ২৪ জন বাংলাদেশী স্কলারকে অভিনন্দন জানাই ও তাদের অব্যাহত সাফল্য কামনা করছি।”
ব্রিটিশ কাউন্সিলের ডিরেক্টর বাংলাদেশ টম মিসিওসিয়া বলেন, “এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ১৮শ’ জন শিক্ষার্থী এই বৃত্তি থেকে উপকৃত হয়েছেন ও বাংলাদেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে তাদের জ্ঞানের বিকাশকে প্রসারিত করেছেন। বৈশ্বিক মঞ্চে ইতিবাচক প্রভাব রাখার ক্ষেত্রে বৃত্তিপ্রাপ্তদের আমার শুভকামনা।”
এই বছর বাংলাদেশ থেকে বৃত্তিপ্রাপ্তরা জেন্ডার অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট, সেক্সুয়াল অ্যান্ড রিপ্রোডাকটিভ হেলথ, অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স, রিস্ক, ডিজাস্টার অ্যান্ড রিজিলিয়েন্স, ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ, এনভায়রনমেন্টাল ল, মেডিকেল ইমেজিং, ইকোনোমিকস ফর ডেভেলপমেন্ট, গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট, মাইগ্রেশন, মোবিলিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, কমিউনিটি, এনগেজমেন্ট, এবং পাবলিক পলিসি, বিলংগিং, ফার্মেসি, পাবলিশিং স্টাডিস, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস, বায়োলজি, ক্লিনিক্যাল অ্যান্ড পাবলিক হেলথ নিউট্রিশন, অ্যাপ্লায়েড ইনফেকশাস ডিজিজ এপিডেমিলোজি, এডুকেশন: ল্যাঙ্গুয়েজ অ্যান্ড এডুকেশন, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস অ্যান্ড ফাইন্যান্স- এইসব বিষয়ে অধ্যায়ন করবেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে, বৃত্তিপ্রাপ্তরা একে অপরের সঙ্গে কথা বলার ও নেটওয়ার্ক তৈরির সুযোগও পান, যা যুক্তরাজ্যে তাদের অ্যাকাডেমিক ও ব্যক্তিগত সাফল্যে অবদান রাখবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ্র, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কমনওয়েলথ স্কলারস অ্যান্ড ফেলোসের (বিএসিএসএএফ) প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম ও ব্রিটিশ কাউন্সিল এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ। অনুষ্ঠানে তারা কমনওয়েলথ বৃত্তিপ্রাপ্তদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ব্রিটিশ কাউন্সিলের হেড অব এডুকেশন বাংলাদেশ তৌফিক হাসানের সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on আগস্ট ২৯, ২০২৩ 4:43 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…