দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রাণবন্ত শহর ঢাকা একটি হৃদয়গ্রাহী ও আনন্দঘন এবং প্রতিভাদের নিয়ে এক রহস্যময় ইভেন্ট, জেসিআই ঢাকা ম্যাভেরিক্সের সাথে অংশীদারিত্বে “কিডস ডে আউট প্রোগ্রাম-২০২৩” উপস্থাপন করা হলো।
শিশুদের সচেতনতা বাড়াতে এবং শিশুদের প্রতিভা উদযাপনের জন্য ডিজাইন করা এই উত্তেজনাপূর্ণ ইভেন্টটি ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ (শুক্র ও শনিবার) সেলিব্রিটি কনভেনশন হল, অটোবি সেন্টার, লেভেল ৬, গুলশান সাউথ এভিনিউ, গুলশান, ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়। .
“কিডস ডে আউট প্রোগ্রাম-২০২৩” শিশুদের এবং পরিবারের জন্য একইভাবে একটি অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতা বলা যায়। তরুণ প্রতিভাবানদের লালন এবং সৃজনশীলতার চেতনাকে লালন করার উপর ফোকাসসহ, ইভেন্টে বিভিন্ন আকর্ষণীয় ক্রিয়াকলাপ প্রদর্শন করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা মিউজিক শো, স্টোরি টাইম, টয় জোন, প্লে জোন, পাজল জোন, ফটো বুথ, ক্যান্ডি ফ্লস, মুভি টাইম, পপ কর্ন, ক্রাফটিং, গুডি ব্যাগ, গেম জোন, ডেজার্ট আইল্যান্ড, টাওয়ার বিল্ডার্স, অ্যানিমেল ফার্ম উপভোগ করেন। পেইন্টিং, কেক সজ্জা ও ছিলো আরও অনেক কিছু!
“মিস্টিক্যাল ইভেন্ট ‘কিডস ডে আউট প্রোগ্রাম-২০২৩’-এর জন্য জেসিআই ঢাকা ম্যাভেরিক্স “কিডস ডে আউট প্রোগ্রাম-২০২৩”-এর সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আনন্দিত’ আমাদের লক্ষ্যই হলো একটি মনোমুগ্ধকর এবং শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা তৈরি করা যেখানে শিশুরা তাদের আবেগকে আলোকিত করতে পারে এবং অন্বেষণ করতে পারে,” বলেছেন সাজিন মাহজীবন হাসিব, মিস্টিক্যাল ইভেন্টের প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও৷ জেসিআই ঢাকা ম্যাভেরিক্স এই অংশীদারিত্বের জন্য সমানভাবে উৎসাহী। “আমাদের তরুণদের ক্ষমতায়ন করা জেসিআই ঢাকা ম্যাভেরিক্সের মিশনের মূল লক্ষ্য। ‘কিডস ডে আউট প্রোগ্রাম-২০২৩’ আমাদের তরুণ প্রতিভা লালন ও তাদের উজ্জ্বল করার একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদানের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ,” মন্তব্য করেন জেসিআই-এর সভাপতি ইরফান উদ্দিন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org