দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জেসিআই ঢাকা এক্সিলেন্স “সমৃদ্ধির রং ১.০” নামে একটি প্রকল্প সম্প্রতি চালু করেছে মানিকগঞ্জের সিংগাইরের জামির্ত্তায়।
জেসিআই ঢাকা এক্সিলেন্স, ইতিবাচক পরিবর্তনের জন্য একটি বৈশ্বিক শক্তি, গর্বের সঙ্গে “সমৃদ্ধির রং ১.০” , একটি উদ্ভাবনী ও সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রকল্প প্রবর্তন করেছে যা জীবনকে পরিবর্তন করার জন্য এক মাইল ফলক বলা যায়।
গত ৮ অক্টোবর, মানিকগঞ্জের সিংগাইরের জামির্ত্তায় সংগঠনটি একটি স্থায়ী মুদি দোকান প্রতিষ্ঠা করে, যা একটি অসহায় পরিবারের জন্য জীবন পরিচালনায় বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
করোনা মহামারীর কারণে গভীর ক্ষতির মুখে এই পরিবারটি তাদের পরিবারের প্রধানের অনুপস্থিতির মধ্যে লড়াই করেছিল। কারণ তাদের নিয়মিত রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজনীয়তা ছিলো। জেসিআই ঢাকা এক্সিলেন্স একটি সামগ্রিক সমাধানের সাথে পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে একটি মুদি দোকান তৈরি করেছে যা শুধুমাত্র তাদের জীবিকা নিশ্চিত করে না বরং চলমান চিকিৎসা ব্যয়ও নির্বাহ হবে।
“আমরা সাধারণ মানুষের মধ্যে আত্মনির্ভরশীলতা এবং স্থিতিস্থাপকতা বৃদ্ধিতে বিশ্বাস করি,” জেসিআই ঢাকা এক্সিলেন্সের সভাপতি হামীম হাসান জোয়ি জোর দেন এই বিষয়টিকে।
“সমৃদ্ধির রং ১.০”-এর মাধ্যমে, আমরা ওইসব ব্যক্তিদের নিজেদের ভবিষ্যত গঠনের জন্য ক্ষমতায়িত করা বা স্বনির্ভর করার লক্ষ্য রাখি।” কমিটির প্রজেক্ট চেয়ারপারসন (সিওসি), তানভীর আহমেদ, জেসিআই ঢাকা এক্সিলেন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট বিষয়টি ঠিক এভাবেই যোগ করেছেন।
এই পরিবারকে আয়ের একটি টেকসই উপায় প্রদানের মাধ্যমে, জেসিআই ঢাকা এক্সিলেন্স তাদের এবং বৃহত্তর সম্প্রদায়ের জন্য একটি উজ্জ্বল, স্বনির্ভর ভবিষ্যত কল্পনা করে। এই উদ্যোগটি সমাজে ইতিবাচক, দীর্ঘস্থায়ী পরিবর্তনের জন্য সংগঠনের অটল প্রতিশ্রুতির উদাহরণও বহন করে।
জেসিআই ঢাকা এক্সিলেন্স ২য় সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত
৮ অক্টোবর জেসিআই ঢাকা এক্সিলেন্স সফলভাবে তার ২য় সাধারণ সদস্য সভা মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরের জামির্ত্তায় সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এই সভায় অতীতের অর্জন পর্যালোচনা, ভবিষ্যত প্রকল্প কৌশল এবং সংস্থার বাজেট আপডেট উপস্থাপনের জন্য নিবেদিত সদস্যদের অবহিত করে।
একটি সহযোগিতামূলক পরিবেশে, অংশগ্রহণকারীরা দেশের সাধারণ সম্প্রদায়ের উন্নয়ন থেকে টেকসই অনুশীলন সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে ইতিবাচক সামাজিক পরিবর্তনকে উৎসাহিত করার জন্য জেসিআই ঢাকা এক্সিলেন্সের প্রতিশ্রুতিকে আন্ডারলাইন করে আসন্ন ইভেন্ট ও প্রকল্পের ওপর জোর দেওয়া হয়।
সংস্থার স্বচ্ছতা তুলে ধরে, সভায় বাজেটের অবস্থার উপর একটি বাস্তব চিত্র উপস্থাপনাও করা হয়। ইভেন্টটি সদস্যদের অবদান, প্রভাবশালী নেতৃত্ব এবং সক্রিয় নাগরিকত্বের জন্য তাদের সংকল্পকে আরও প্রশস্ত ও দৃঢ় করেছে। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org