দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শতবর্ষের কাছে যাদের বয়স তাদের লাঠি ঠুকে চলাচল কিংবা পড়ে থাকতে দেখা যায় শয্যায়। তবে আশ্চর্যের বিষয় হলো ৯৮ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে দিব্যি দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন! সম্প্রতি এমনি এক ব্যক্তি রেকর্ড গড়লেন মোটরসাইকেল প্রতিযোগিতায়। গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড দিয়েছে এই তথ্য।
সংবাদ মাধ্যমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ৯৮ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির নাম লেসলি হ্যারিস। নিউজিল্যান্ডের বাসিন্দা তিনি। পুরুষ বিভাগে বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক মোটরসাইকেল রেসার হিসেবে তিনি পরিচিত। গত বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর এই স্বীকৃতির কথা প্রকাশ করে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস। গত ৫ ফেব্রুয়ারি ওই প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিলো।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, ইতিপূর্বে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ৪৩তম ক্লাসিক মোটরসাইকেল ফেস্টিভ্যালে হ্যারিস এই রেকর্ড গড়েছিলেন। তখন তার বয়স ৯৭ বছর ৩৪৪ দিন। তার বয়স ৯৮ বছর পূর্ণ হতে বাকি ছিল মাত্র ২১ দিন।
এই বয়সেও প্রতিযোগিতায় মোটেও পিছিয়ে ছিলেন না লেসলি হ্যারিস। চতুর্থ স্থান অধিকার করেন তিনি। ইতিপূর্বে তিনি ২০১৯ সালে ৯৩ বছর বয়সে এই প্রতিযোগিতায় প্রথম হন। এবারের প্রতিযোগিতায় তিনি ১৭৭ সিসির একটি পুরনো মডেলের মোটরসাইকেল ব্যবহার করেন যার গতি ঘণ্টায় ১৩৪ কিলোমিটার পর্যন্ত উঠে থাকে।
লেসলি হ্যারিস ২০২০ সালে ক্লাসিক ফেস্টিভ্যালে একটি পাহাড়ে মোটরসাইকেল চালানোর সময় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছিলেন। মোটরসাইকেলটি ছিটকে পড়ে গেলে তার ৬টি পাঁজর ভেঙে যায়। তবে ভাগ্যক্রমে তিনি দ্রুত সেরে উঠেছিলেন। তবে এর পরের দুই বছর কোভিড-১৯ এর কারণে এই উৎসব অনুষ্ঠানটি স্থগিত ছিল।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org