দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পুরো বিশ্বে অনেক বিলিয়নিয়ার রয়েছেন। এর মধ্যে বিল গেটস, ইলন মাস্ক, ওয়ারেন বাফেট, মার্ক জাকারবার্গ, মুকেশ আম্বানি, জেফ বেজোস, গৌতম আদানি, রতন টাটা অন্যতম।
কোটি কোটি টাকার সম্পদের অধিকারী এঁরা। দামি গাড়ি থেকে ব্যক্তিগত বিমান সবই তাদের কাছে রয়েছে। তবে বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্যক্তিগত বিমানের মালিক তারা কেও নন বরং বিশ্বের সবচেয়ে দামি বিমানের মালিক সৌদির একজন রাজপুত্র। ডিএনএ ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, তার নাম হলো আল ওয়ালিদ বিন তালাল আল সৌদ। তিনি সৌদি আরবের রাজপুত্র এবং ব্যবসায়ী। সম্প্রতি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্যক্তিগত বিমানের মালিকও তিনি। সৌদির রাজপুত্রের ব্যক্তিগত বিমানটি হলো বোয়িং ৭৪৭-এর। বিমানটির বর্তমান বাজারমূল্য ২ হাজার ১৯৫ কোটি টাকার মধ্যে। তবে সব মিলিয়ে মোট মূল্য ছাড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকা!
জানা যায়, মূলত এই বিমানটিকে আরও বিলাসবহুল করতে গিয়েই দাম বেড়েছে। ভেতরের চোখ ধাঁধানো অন্দর সজ্জার কারণেই জেটটির দাম এখন আকাশছোঁয়া। এই বিমানে অন্তত ৮০০ জনের একসঙ্গে যাওয়ার সুব্যবস্থাও রয়েছে। এ ছাড়াও রয়েছে ১০ আসনের ডাইনিং হল, বিলাসবহুল বেড রুম, হোম থিয়েটার, স্পা এবং নামাজের ঘর। এছাড়াও ‘স্টিম বাথ’ এর জন্য রয়েছে পৃথক ব্যবস্থা।
ফোর্বসের খবর অনুযায়ী জানা যায়, সৌদির রাজপুত্র মোট ১.৫৫ লাখ কোটি টাকার সম্পত্তির মালিক। সেই তুলনায় মুকেশ আম্বানির সম্পত্তির পরিমাণ অনেকটা বেশি। রিলায়্যান্স কর্ণধারের মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭৯ লাখ ৫৮ হাজার কোটি টাকারও অনেক বেশি।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org