দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ তরুণদের আন্তর্জাতিক সংগঠন জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল-জেসিআই বাংলাদেশ ১৩ অক্টোবর (শুক্রবার) দিতে যাচ্ছে টেন আউটস্ট্যান্ডিং ইয়াং পারসনস (TOYP) পুরস্কার-২০২৩।
অনূর্ধ্ব ৪০ বছর বয়সী ১০ জন তরুণ-তরুণীদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে জেসিআই প্রতি বছর ১০০টিরও বেশি দেশে তাদের অনন্য সম্মাননা TOYP পুরস্কার আয়োজন করে। নেতৃত্ব গঠনের সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে তরুণদের ইতিবাচক পরিবর্তনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াই জেসিআই-এর লক্ষ্য। এর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জেসিআই বাংলাদেশও প্রতি বছর টয়োপ পুরস্কার আয়োজন করে থাকে।
পুরস্কারটি বিভিন্ন বিভাগে তরুণদের অসামান্য কাজের স্বীকৃতি দেয়, যেমন- ব্যবসা, অর্থনীতি, উদ্যোক্তা অর্জন, রাজনীতি, আইনি বিষয়, সরকারি বিষয়, একাডেমিক নেতৃত্ব, ব্যক্তিগত উন্নতি বা অর্জন, চিকিৎসা উদ্ভাবন, সাংস্কৃতিক অর্জন এবং মানবিক বা স্বেচ্ছাসেবী নেতৃত্ব।
এ বছর একই উদ্দেশ্য নিয়ে TOYP-২০২৩ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাজধানীর পাঁচ তারকা হোটেল শেরাটন ঢাকায়, যেখানে বাংলাদেশের ১০ জন তরুণ-তরুণীকে এ বছর নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার জন্য এক অনবদ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সম্মাননা দেওয়া হবে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী জনাব মো. তাজুল ইসলাম ।
জেসিআই বাংলাদেশ মঙ্গলবার একটি প্রেস কনফারেন্সের মাধ্যমে টয়োপ-২০২৩ এর ঘোষণা দেয়। উক্ত প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন জেসিআই বাংলাদেশের ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট জিয়াউল হক ভূঁইয়া। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন জেসিআই এর ডেপুটি ন্যাশনাল প্রেসিডেন্ট ইমরান কাদির, TOYP-2023 এর পরিচালক এরফান হক, আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ সাফি, সহ-আহ্বায়ক আরেফিন রাফি আহমেদ, আরিজ আফসার খান এবং মুহাম্মাদ আলতামিশ নাবিল।
TOYP-2023 সম্পর্কে জেসিআই বাংলাদেশের সভাপতি জিয়াউল হক ভূঁইয়া বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলায় দেশের তরুণ সমাজের ভূমিকা অনস্বীকার্য। জেসিআই বাংলাদেশ প্রতিনিয়ত টেকসই উন্নয়নের পথে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে তরুণদের মধ্যে নেতৃত্ব গুণ গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে কাজ করছে। TOYP-2023 তরুণ প্রজন্মের মধ্যে প্রভাবশালী নেতৃত্বকে অনুপ্রাণিত করার পথে আরেকটি পদক্ষেপ।
উল্লেখ্য, জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ প্রতি বছর টেন আউটস্ট্যান্ডিং ইয়াং পার্সনস (জেসিআই TOYP) অ্যাওয়ার্ড শীর্ষক পুরস্কারের মাধ্যমে অসামান্য অর্জনের জন্য অনূর্ধ্ব ৪০ বছরের দশজন তরুণ-তরুণীদের সম্মাননা দিয়ে আসছে।
জেসিআই ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী তরুণ পেশাজীবী, উদ্যোক্তা ও নেতৃত্ব স্থানীয়দের নিয়ে গঠিত একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিসৌরি অঙ্গরাজ্যের সেইন্ট লুইসে এর সদর দফতর অবস্থিত। বর্তমানে ৪০টি স্থানীয় সংগঠন ও প্রায় ৫০০০ সদস্য নিয়ে জেসিআই বাংলাদেশ জাতীয় পর্যায়ে সমাজ ও সম্প্রদায়ের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org