দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে অনেকেই নামী-দামি সংস্থার প্রসাধনী ব্যবহার করেন। তবে তারপরও যদি চুলের স্বাস্থ্য না ফেরে, তাহলে চিন্তিত হয়ে পড়াটায় স্বাভাবিক। তবে অযথা চিন্তা না করে বরং কেশচর্চায় কোন ভুলটি হচ্ছে সেটি যাচাই করে নেওয়া জরুরি।
বিশেষ করে মেয়েরা চুল ভালো রাখতে কোনো চেষ্টার কমতি রাখেন না। বাজারচলতি প্রসাধনী থেকে শুরু করে ঘরোয়া টোটকা, চুলের যত্নে যাতে কোনও ত্রুটিই না থাকে, সেদিকে সদা নজর থাকে প্রায় সবার। এতো কিছু করেও অনেকেই চুলের নানা সমস্যায় নাজেহাল হচ্ছেন। চুল ঝরা, মাথার ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা, খুশকির মতো নানা সমস্যায় ভুগে থাকেন অনেকেই। নামী-দামি সংস্থার প্রসাধনী ব্যবহার করেও যদি চুলের হাল এমন হয়েই যায়, তাহলে চিন্তিত হয়ে পড়াটায় স্বাভাবিক। তবে অযথা চিন্তা না করে বরং কেশচর্চায় কোন ভুলটি হচ্ছে সেটি যাচাই করে নেওয়াটা জরুরি।
চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার
চুল পরিষ্কার রাখতে প্রতিদিনই শ্যাম্পু তো করছেন। তবে কন্ডিশনার ব্যবহার করছেন কী? যদি না করেন, তাহলে সেই ভুলের যেনো পুনরাবৃত্তি না হয়। নিয়ম করে কন্ডিশনার ব্যবহার করাটা জরুরি। কন্ডিশনার চুল মসৃণ ও নরম রাখে।
চুলে চিরুনি দেওয়া
সারাদিন পরিশ্রমের পর বাড়ি ফিরতেই অনেক সময় ঘুমে দু’চোখ জড়িয়ে আসে। চুল না আঁচড়িয়েই ঘুমিয়ে প়ড়েন। এই অভ্যাস মোটেও ঠিক নয়। চুল যতো বার আঁচড়াবেন, ততোই মাথার ত্বকের ঘর্মগ্রন্থি থেকে প্রাকৃতিক তেল তখন উৎপাদন হবে। এতে চুল বাড়বে খুব দ্রুত। তবে প্রয়োজনের বেশি চুল না আঁচড়ানোই ভালো। এতে করে চুল ঔজ্জ্বল্য হারায়।
ভিজে চুলে ঘুমোনো
রাতে শ্যাম্পু করেন অনেকেই। শ্যাম্পু করা মানেই চুল শুকোতে অনেকটা দেরি হওয়া। অনেক সময় ড্রায়ার দিয়ে চুল শুকিয়ে নিলেও চুলের গোড়া ভিজে থাকে। শুকিয়ে গিয়েছে ভেবে এই অবস্থায় অনেকেই ভেজা চুলেই ঘুমিয়ে পড়েন। সেখান থেকেই শুরু হয় চুল ঝরা। সে কারণে রাতে শ্যাম্পু না করাই ভালো। যদি করেনও, তবে ভালো করে মুছে চুল শুকিয়ে তারপর ঘুমোতে যাবেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org