দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের একটি সরকারি হাসপাতালে ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। যারমধ্যে আবার ১২ জনই নবজাতক।
ওই হাসপাতালে মারা যাওয়া প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা বিভিন্ন অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে বেশিরভাগ রোগির মৃত্যু হয়েছে সাপের কামড়ে।
দেশটির মহারাষ্ট্রের নান্দেদ জেলার সরকারি শঙ্কররাও চভন হাসপাতালে এই ঘটনাটি ঘটেছে। -খবর এনডিটিভির।
সরকারি শঙ্কররাও চভন হাসপাতালের ডিন একদিনে এতো সংখ্যক মানুষের মৃত্যুর জন্য ওষুধ ও হাসপাতালের কর্মী সংকটকেই দায়ী করেছেন।
হাসপাতালের ডিন বলেছেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ ছেলে শিশু ও ৬ মেয়ে শিশুর মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১২ জন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিও বিভিন্ন রোগে মারা গেছেন। তবে বেশিরভাগেরই মৃত্যু ঘটেছে সাপের কামড়ে। তিনি জানান, হাসপাতাল কর্মীদের বিভিন্ন স্থানে বদলি করা হয়েছে। যে কারণে আমরা অসুবিধায় পড়ে গেছি।
তিনি আরও বলেছেন, আমাদের হাসপাতালটি ছোট, তবে ৭০-৮০ কিলোমিটারের মধ্যে এটিই একমাত্র চিকিৎসার স্থান। তাই দূর-দূরান্ত হতে রোগীরা আমাদের কাছে আসেন। কোনও কোনও দিন রোগীর সংখ্যা খুব বেড়ে যায় ও আমাদের বাজেটের সমস্যায় পড়তে হয়। এটি মূলত হাফকাইন ইনস্টিটিউট। আমাদের তাদের কাছ থেকে ওষুধ কেনার কথাও ছিল। তবে তা হয়নি। আমরা স্থানীয়ভাবে ওষুধ কিনেই রোগীদের দিয়েছি।
সরকারি হাসপাতালে একদিনে এতো মৃত্যুর খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ার পর মহারাষ্ট্রের একনাথ শিন্ডে সরকারকে আক্রমণ করেছে ওই রাজ্যের বিরোধীরা।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org