দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী মানব জর্ডান ‘বিগি’ স্টিফেনস নতুন রেকর্ড গড়লেন। ৩৩ বছর বয়সী এই বডিবিল্ডার মাটিতে বসে দড়ি দিয়ে বাঁধা ২০ টনের একটি ক্রেন ১৬ দশমিক ৪ ফুট টেনে নিয়ে আসেন!
গত ২৮ সেপ্টেম্বর গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, শরীরের ওপর অংশ দিয়ে ভারি বাহন টানা ক্যাটাগরিতে এই রেকর্ড গড়লেন জর্ডান। এই রেকর্ডের শর্তই হলো, সংশ্লিষ্ট প্রতিযোগিকে মাটিতে বসে কোমর থেকে শরীরের উপরের শক্তি দিয়ে গাড়ি টানতে হবে। এই ক্ষেত্রে ওই প্রতিযোগী তার পা দ্বারা কোনো ধরনের শক্তি প্রয়োগ করতে পারবেন না। এই বিভাগে প্রতিযোগিকে প্রধানত তার পিঠ ও বাহু পেশীর উপর নির্ভর করেই করতে হয়।
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এই অর্জনের মধ্যদিয়ে জর্ডান কানাডার কেভিন ফাস্টের পুরোনো রেকর্ড ভেঙেছেন। ২০২১ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানহাটনের রাস্তায় ১৩ টনের বেশি ওজনের একটি বাস টেনে রেকর্ড গড়েছিলেন কেভিন। রেকর্ড গড়ার পূর্বে জর্ডানকে দুটি বড় ইনজুরি থেকে সেরে উঠতে হয়। ২০১৯ সালে তার বাঁ বাহুর ঊর্ধ্বাংশের মাংসপেশি ও ২০২১ সালে তার ডান বাহুর একই মাংসপেশিতে টান পড়ছিল। প্রতিবারই তাকে সার্জারি আনুষঙ্গিক চিকিৎসায় ১২ সপ্তাহের বিশ্রামে থাকতে হয়।
গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ক্রেন টানার এই রেকর্ড গড়ার কয়েক সপ্তাহের মাথায় জর্ডান আবারও একই ধরনের সক্ষমতা দেখান।
জানা যায়, অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ‘রয়্যাল অ্যাডিলেড শোতে’ সেই সক্ষমতা দেখিয়ে প্রায় ৪০ হাজার অস্ট্রেলীয় ডলার সংগ্রহ করেন তিনি। বাংলাদেশী মুদ্রায় যে টাকার পরিমাণ ২৮ লাখ টাকারও ওপরে। এই সংগ্রহীত অর্থ তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিশুদের সহায়তা দানকারী স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান স্টার লাইট চিলড্রেনস ফাউন্ডেশনকে দান করেছেন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org