দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ৬ অক্টোবর ২০২৩ খৃস্টাব্দ, ২১ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ, ২০ রবিউল আউয়াল ১৪৪৫ হিজরি। দি ঢাকা টাইমস্ -এর পক্ষ থেকে সকলকে শুভ সকাল। আজ যাদের জন্মদিন তাদের সকলকে জানাই জন্মদিনের শুভেচ্ছা- শুভ জন্মদিন।
মানিকগঞ্জে হরিরামপুরের ঐতিহাসিক স্থাপত্য হলো এই সুপ্রাচীন মাচাইন জামে মসজিদ। তিন গম্বুজ বিশিষ্ট ও আকর্ষণীয় শিল্পমণ্ডিত এই মসজিদটি দেশের অন্যতম একটি পুরাকীর্তি।
শিলালিপি অনুযায়ী দেখা যায়, এই মসজিদটি ১৫০১ সালে হোসেন শাহ্ কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। মানিকগঞ্জ জেলা শহর হতে প্রায় ২৩ কিলোমিটার দূরে নির্মিত মসজিদটির মূল অংশের ওপর রয়েছে ৩টি গম্বুজ। উত্তর এবং দক্ষিণ পাশের গম্বুজের চেয়ে মাঝের গম্বুজটি হলো একটু বড়। মসজিদটির মূল অংশের ওপর রয়েছে নিখুঁতভাবে করা কারুকাজ। প্রতিটি দেওয়ালেও রয়েছে প্রচুর কারুকাজ, যা দর্শনার্থীদের দৃষ্টি কাড়ে। জানা গেছে, এই মসজিদটি নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে চুন, সুরকি এবং সাদা সিমেন্ট। ঐতিহ্যের সাক্ষী হয়ে আজও টিকে আছে এই মসজিদটি। ক’বছর আগে প্রাচীন এই মসজিদটি সংস্কার করা হয়।
ইতিহাস থেকে জানা যায়, বাংলার বিখ্যাত হোসেন শাহি বংশের খ্যাতিমান সুলতান আলাউদ্দিন হোসেন শাহের রাজত্বকালে শাহ্ রুস্তম (রহ:) মানিকগঞ্জ অঞ্চলে ইসলাম ধর্ম প্রচার করার জন্য এসেছিলেন এবং এই মাচাইন গ্রামে খানকা প্রতিষ্ঠা করেন। শোনা যায়, তিনি নাকি অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারীও ছিলেন। তার এই অলৌকিক গুণে মুগ্ধ হয়েই এলাকার লোকজন ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। তিনি একটি মাচানের ওপরেই অবস্থান করতেন। ধীরে ধীরে হজরত শাহ রুস্তমের অনুসারীরা খানকার আশপাশে বাড়িঘর নির্মাণ করে বসবাসও করতে থাকেন।
স্থানীয়দের মধ্যে কিংবদন্তি অনুযায়ী জানা যায়, হযরত শাহ রুস্তম (রহ:) নামে এক কামেল দরবেশ ইছামতি নদীর ওপর বাঁশের মাচানে বসে ইবাদত করতেন। এই মাচাইন নামানুসারে পরবর্তীকালে মাচাইন গ্রাম নামের উৎপত্তি হয়েছিলো।
মসজিদটির ইতিহাস সম্পর্কে আরও জানা যায়, সুলতান আলাউদ্দিন ছিলেন একজন মুসলিম শাসক। তিনি হযরত রুস্তম শাহের ইসলাম প্রচারে খুব খুশি হন। এই মহান বুজুর্গ সাধকের প্রতি তার বিশেষ ভক্তি-শ্রদ্ধার উদ্রেকও হয়। তাঁর শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ এলাকায় ইসলাম প্রচারের সুবিধার্থেই ১৫০১ খ্রিষ্টাব্দে এই সুরম্য মসজিদটি প্রতিষ্ঠা করেন। তথ্যসূত্র: https://www.dailyinqilab.com