দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেত্রী মধুবালার বায়োপিক নির্মিত হতে যাচ্ছে। তার বোন মধুর ব্রিজ ভূষণের ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিয়ে এই বায়োপিক সিনেমাটির চিত্রনাট্য এবং পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছেন জেসমিত কে রিন। সেজন্য একজন প্রথম সারির অভিনেত্রীর খোঁজেও রয়েছেন পরিচালক। কে হবেন মধুবালা?
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, মধুবালার বায়োপিক নির্মাণের উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই চিত্রনাট্য লেখার কাজ শেষ করেছেন সিনেমার পরিচালক জেসমিত কে রিন। এই সিনেমাটির জন্য অবশ্যই প্রথম সারির অভিনেত্রীর খোঁজ করছেন তিনি। এর আগে জেসমিত আলিয়া ভাট, শেফালি শাহ এবং বিজয় বার্মাকে নিয়ে ‘ডার্লিংস’ নির্মাণ করেন। তবে কে হবেন মধুবালা? সেই প্রশ্নের জবাব এখনও পাওয়া যায়নি।
নিজেকে মধুবালার মতো সুন্দরী এবং লাস্যময়ী রুপে দেখা যে কোন অভিনেত্রীর জন্য স্বপ্নের মতোই, যে কেওই করতে চাইবেন। এদিকে নির্মাতারাও সম্ভাব্য সেরা গল্প নিয়ে এগিয়ে যেতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যা প্রয়াত মধুবালার গৌরবময় জীবনের সঙ্গে সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার করেই করা হবে।
জানা গেছে, ২০২৪ সালে ছবিটির প্রি-প্রোডাকশন শুরু হবে। ছবিটি নির্মিত হবে মধুবালা এবং তার ছোট বোনের মধুবালা ভেঞ্চারস প্রাইভেট লিমিটেড এবং ব্রিউয়িং থটস প্রাইভেট লিমিটেডের অধীনে।
উল্লেখ্য, মধুবালা ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে সবচেয়ে সুন্দরী এবং লাস্যময়ী নায়িকা ছিলেন। এই নায়িকার পুরো নাম মমতাজ জাহান দেহলভী। সমসাময়িক নার্গিস ও মীনা কুমারীর বিপরীতে তাকে হিন্দি সিনেমার সর্বাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তিত্ব হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে। ব্যক্তিজীবনে এই নায়িকা দিলীপ কুমারের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান। তবে তাদের সম্পর্ক কখনও বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়নি। পরে এই নায়িকা কিশোর কুমারকে বিয়ে করেন।
১৯৪৯ হতে ১৯৬৪ সাল পর্যন্ত মাত্র ২৯ বছরের অভিনয় জীবনে প্রায় ৭০টি সিনেমায় অভিনয় করেন তিনি। ‘মুঘল-ই-আজম’ (১৯৬০) মধুবালার জীবনের শ্রেষ্ঠ সিনেমা হিসেবে বিবেচিত।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org