দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দ্রুত পেটের মেদ কমাতে গিয়ে ভরসা রাখেন নানা যোগাসন-ডিটক্স পানীয়ে। এ গুলোর পাশাপাশি কয়েকটি খাবার খাওয়াও বন্ধ করলে দ্রুত মেদ ঝরাতে হিমসিম খেতে হবে না।
কোমরের মেদ ঝরানো খুব সহজ কাজ নয়। ডায়েট, শরীরচর্চা করে ওজন কমানো সম্ভব হলেও পেটের মেদ কমাতে কিন্তু জীবন বেরিয়ে যায়। চেষ্টা করে পেটের মেদ ঝরাতে ব্যর্থ হয়েছেন এমন উদাহরণও রয়েছে অনেক। বাড়তি ওজনের চেয়েও পেটের মেদ বাড়লে অনেকেই বেশি অস্বস্তিতে পড়েন। তাই পেটের মেদ ঝরাতে চেষ্টার কোনও ত্রুটিই রাখেন না।
রেডমিট
পেটের মেদ কমাতে হলে রেড মিট খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দিতে হবে। মাংসে প্রোটিন থাকলেও মেদ ঝরানোর পর্বে এই মাংস এড়িয়ে চলাটা জরুরি। কারণ হলো, রেডমিটে স্যাচুরে়টেড ফ্যাট ও সোডিয়াম ভরপুর পরিমাণে থাকে। তাছাড়াও রেডমিট যেহেতু সংরক্ষণ করে রাখা হয়, যে কারণে এই ওজন বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা আরও জোরালো হতে পারে।
কর্ন
কর্ন একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য হলেও পেটের মেদ দ্রুত ঝরাতে চাইলে এড়িয়ে চলাটা জরুরি। কর্নে শর্করার মাত্রা অনেকটা বেশি থাকে। যে কারণে ডায়াবেটিসের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও অনেক থাকে। শরীরে শর্করা জমে মেদ হতে থাকলে পেটের মেদ কমানো তখন কঠিন হয়ে পড়ে।
চেরি
চেরি ফলে ফ্রুক্টোজের পরিমাণ বেশি। ফ্রুক্টোজ ওজন বেড়ে যাওয়ার অন্যতম একটি কারণ। তাই ওজন কমাতে চাইলে, আপনাকে চেরি খাওয়া বন্ধ করতে হবে। চেরির মতো আম, সবেদাতেও ফ্রুক্টোজ রয়েছে। তাই এই জাতীয় ফল যতো কম খাওয়া যায়, ততোই ভালো। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on অক্টোবর ১০, ২০২৩ 3:23 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অবশেষে গত ৩১ বছর ধরে চলা ‘গোল্ডেন আউল’ বিতর্কের অবসান…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৯ কার্তিক ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যদি আপনি হৃদরোগের থেকে দূরে থাকতে চান তাহলে ভরসা রাখতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্রিটিশ কাউন্সিলের আয়োজনে রাজধানী ঢাকার রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেনে গতকাল…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাশ্রয়ী দামে শক্তিশালী ব্যাটারি, দ্রুত চার্জিং সুবিধা; সাথে দৃঢ়তা ও…