দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গত বছরের শেষ দিকে ঘোষণা আসে ‘এক্সকিউজ মি’ সিনেমার। পরে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘পায়েল’। রায়হান খানের পরিচালনায় এই সিনেমায় প্রথমবারের মতো জুটি বেঁধেছেন জিয়াউল রোশান এবং আশনা হাবিব ভাবনা।
সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে শেষ হয় সিনেমার প্রথম লটের শুটিং। তবে পরিবর্তন করা হয় সিনেমার নাম। ‘এক্সকিউজ মি’ বদলে নাম রাখা হয় ‘পায়েল’। নির্মাতা জানিয়েছেন, এটি মূলত নারীকেন্দ্রিক গল্প নিয়ে একটি সিনেমা, যার মুখ্য চরিত্রের নামই হলো পায়েল। তাই নতুন করে নাম রাখা হয় পায়েল।
সিনেমাটি সম্পর্কে ভাবনা বলেন, ‘অনেক দিন পর নারীকেন্দ্রিক কোনো বাণিজ্যিক ঘরানার সিনেমা নির্মিত হতে যাচ্ছে। গল্পটা মূলত আমাকে কেন্দ্র করেই, তাই আগ্রহ নিয়েই এই কাজটি করছি।’
এই সিনেমায় প্রথমবারের মতো কোনো গানের সঙ্গে নেচেছেন ভাবনা। গল্পের প্রয়োজনেই ‘ঝিলমিল ঝিলমিল’ শিরোনামে গানটি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
নতুন এই সিনেমা সম্পর্কে রোশান বলেন, ‘মূলত খুব গোছানো একটি কাজ হচ্ছে। দৃশ্যের রেফারেন্স টেনেই বলছি- দৃশ্যটি বেশ জটিল মনে হয়েছিল আমার কাছে। ভাবছিলাম পরিচালক রায়হান ভাই এই দৃশ্যটি আসলে কীভাবে করবেন। পরে দেখলাম, তিনি তাঁর মেধা দিয়ে চমৎকারভাবেই দৃশ্যটির শুটিং করলেন। আমি মুগ্ধ হলাম। আমার ধারণা, পুরো সিনেমাটি দেখার পর দর্শকরাও মুগ্ধ হবেন।’
এই সিনেমার একটি মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন মিশা সওদাগর। তিনি বলেন, ‘এককথায় গল্পটা অসাধারণ। আমার চরিত্রটি নিয়েও ভীষণ আশাবাদী আমি। চেষ্টা করছি চরিত্রটি যথাযথভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য। সত্যি বলতে কি, অ্যারেঞ্জমেন্ট ভালো হলে কাজ করতে ভালোই লাগে। এই সিনেমাটির শুটিং করে বেশ আরামও পাচ্ছি।’
এই সিনেমায় আরও অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, তানিয়া আহমেদ, শাহেদ আলী, শিবা শানু প্রমুখ।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org