দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ব্যবহারকারীর তথ্যের গোপনীয়তা এবং সুরক্ষা জোরদারে সম্প্রতি ‘গ্লোবাল ওয়েব কল’ ফিচার নিয়ে এলো তাৎক্ষণিক যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম ইমো।
এই ফিচারটি চালু করতে হলে ইমো ব্যবহারকারীদের কনট্যাক্ট ট্যাবে গিয়ে ‘গ্লোবাল ওয়েব কল’ -এ ক্লিক করতে হবে। এই সময় একটি আলাদা লিংক তৈরি হবে, যা ব্যবহারকারী অন্যদের সঙ্গে শেয়ারও করতে পারবেন। যাদের সঙ্গে শেয়ার করবেন তারা লিংকে ঢুকে অডিও/ভিডিও কলেও অংশ নিতে পারবেন।
এই ফিচারটিতে কোনো ব্যক্তিগত তথ্য কিংবা ফোন নাম্বার দেখা যাবে না; যে কারণে, যারা তথ্যের সর্বোচ্চ সুরক্ষা বজায় রাখতে চান তাদের জন্য এই ফিচারটি অনবদ্য ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে এর মাধ্যমে ক্ষুদ্র এবং মাঝারি উদ্যোক্তারা (এসএমই) তাদের ব্যবসার জন্য নির্দিষ্ট কল লিংক তৈরি করতে পারবেন। এতে করে তাদের ব্যক্তিগত এবং ব্যবসায়িক কথোপকথন পৃথক করা যাবে; অপরদিকে, ক্রেতাদের তথ্যের গোপনীয়তা লঙ্ঘন না করেও তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে। এই ফিচারটি হজ্ব কিংবা ওমরা পালন করতে গেছেন বা বিদেশে ঘুরতে গেছেন এমন মানুষদের জন্য নিজেদের ব্যক্তিগত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের তথ্য প্রকাশ না করেও নতুন পরিচিত কিংবা সেবাপ্রদানকারীদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দিবে। এটি কেবলমাত্র নতুন যোগাযোগ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে এমন নয়, সেইসঙ্গে বিদেশের মাটিতে একদম বিনামূল্যে- প্রয়োজনের সময় এবং জরুরি মুহূর্তে সংযুক্ত হতে
সহায়তা করবে।
প্রতিটি লিংকের মাধ্যমে একসঙ্গে ৯ জনকে কল করা যাবে; যে কারণে, এখন বন্ধুদের সঙ্গে নানা প্ল্যাটফর্মে স্বাচ্ছন্দ্যে যোগাযোগ করা যাবে। মাল্টিপ্লেয়ার গেমস খেলা কিংবা শুধুমাত্র যোগাযোগ যাই হোক না কেনো, রিয়েল-টাইম কনভারসেশন এখন আগের চেয়েও অনেকটা সহজ হবে। এই ফিচারটি সামনে আরও আপগ্রেড নিয়ে আসছে, যেখানে ১০ জনেরও বেশি মানুষ একসঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলার সুযোগ পাবেন।
এই বিষয়ে ইমো মেসেঞ্জারের বিজনেস ডিরেক্টর মেহরান কবির বলেছেন, “বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাটফর্ম থাকায় এখন একসঙ্গে কথা বলা কঠিন হয়ে গেছে। তার ওপর, বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে গোপনীয়তা সংক্রান্ত জটিলতাগুলোও রয়েছে। আর এই কারণেই ‘গ্লোবাল ওয়েব কল’ ফিচারটি নিয়ে আসা হয়েছে, যেনো আমাদের ব্যবহারকারীরা তাদের গোপনীয়তা এবং সুরক্ষা বজায় রাখার পরেও মাত্র একটি লিঙ্ক ব্যবহার করেই সকল ধরনের যোগাযোগ নিশ্চিত করতে পারেন।” খবর প্রেস বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org