দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিল ‘এক থা টাইগার’। কবীর খানের পরিচালনায়, যশ রাজ ফিল্মসের স্পাই ইউনিভার্সের সূচনা হয় এই ছবির সঙ্গেই।
তারপর ধীরে ধীরে একের পর এক এজেন্ট যুক্ত হয়েছেন। তবে টাইগারের উজ্জ্বলতা এখনও অটুট রয়েছে। ৯ বছর পর টাইগার সিরিজের ৩ নম্বর ছবি নিয়ে পর্দায় ফিরতে যাচ্ছেন সালমান।
গত ১৬ অক্টোবর প্রকাশ্যে আসে এই ছবির অ্যাকশন-প্যাক ট্রেলার। ছবির ট্রেলারে দেখা যায়, সালমান খানের অতীতের এক শত্রু ফিরে এসেছে। সেই ভিলেনের চরিত্রে থাকছেন ইমরান হাশমি। টাইগার যেমন তার কাছ থেকে তার স্ত্রী-সন্তানকেও ছিনিয়ে নিয়েছে (সংলাপে দাবি এমনই) এবার সেও টাইগারকেই সর্বহারা করে ছাড়বে।
যশরাজ স্পাই ইউনিভার্সের সবচেয়ে পুরোনো খিলাড়ি, তবে এবার মহাসংকটে টাইগার। একে তার ওপর দেশদ্রোহের অভিযোগও, তার ওপর পরিবার ও দেশ-দুইয়ের মধ্যেই একটা বেছে নেওয়ার কঠিন শর্ত। তিনি কীভাবে দু’কুল রক্ষা করবেন? বিষয়টি নিয়েই এগোবে মণীশ শর্মার টাইগার ৩ এর কাহিনী। এর আগেও ইমরান হাশমিকে দেখা গিয়েছিল অক্ষয় কুমারের সঙ্গে ‘সেলফি’তে।
সালমান বনাম ইমরান লড়াইয়ের মধ্যেই সবার চোখ খুঁজে পেলো একজনকে, শাহরুখ খান। ‘পাঠান’ ছবিতে স্পেশাল অ্যাপিয়ারেন্সে দেখা পেয়েছিলো টাইগারের, পাঠানকে মৃত্যুমুখ থেকে রক্ষা করতে ছুটে আসে টাইগার। এবার পাঠানের পালা বন্ধুকে সাহায্যের। ছবির ট্রেলারে পাঠানের ঝলক দেখা যায়নি, তবে ফোনে টাইগারকে বলতে শোনা যায়, ‘একটা মিশনের জন্য আমার তোকেই দরকার, বিষয়টি ব্যক্তিগত’।
অনুরাগীদের ধারণা টাইগার ফোনে পাঠানের কাছেই সাহায্য চেয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো ভাইরাল এই ভিডিও ক্লিপসটি।
অপর একটি সূত্রের খবর হলো, টাইগার ৩ ছবিতে শাহরুখের ক্যামিও চরিত্রের জন্য পানির মতোই পয়সা খরচ করেছে যশ রাজ ফিল্মস। দুই তারকার কারিশমা ফুটিয়ে তুলতে যে সেট তৈরি করা হয় তার খরচই ৩৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ পাঠানের এন্ট্রি সিনে হাত খুলে দু’হাতে টাকা খরচ করেছেন প্রযোজক আদিত্য চোপড়া। এই দুই স্পাই চরিত্রকে আগামী বছর যশরাজ ফিল্মস- এর ‘টাইগার ভার্সেস পাঠান’ ছবিতেও দেখা যাবে। তারই আগাম ঝলক দেখা যাবে টাইগার ৩ ছবিতে।
টাইগার ৩ দীপাবলিতে অর্থাৎ ১২ নভেম্বর মুক্তি পাবে বলে জানা যায়। আর চিরাচরিত রীতি মেনে শুক্রবার নয়, রবিবার মুক্তি পাবে গান।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org