বার বার চা খাওয়ার কারণে অজান্তেই বাড়িয়ে তুলছে মারণরোগের ঝুঁকি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত এক কাপ চায়ে ২০ থেকে ৬০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন থাকে। পুষ্টিবিদরা বলেছেন, প্রতি দিন ৩ থেকে ৪ কাপের বেশি চা খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।

আপনি রাত জেগে পড়াশোনা করার সময় সঙ্গে এক ফ্লাস্ক চা রাখেন বা টান টান উত্তেজনাপূর্ণ ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের মাঝেও বার বার চায়ের কাপে চুমুক দেন। বেশ কয়েক বার চা না খেলে অফিসের কনকনে ঠাণ্ডায় বসে কাজ করতে বেশ অসুবিধা হয়। একঘেয়েমি কাটাতে পানীয় হিসেবে চায়ের জুড়ি নেই। বিপাকহার বাড়িয়ে তোলার জন্যেও অনেকেই বিশেষ কিছু চায়ের উপর ভারসা রাখতেই পারেন। তবে চিকিৎসকরা বলেছেন, ঘন ঘন চা খাওয়ার এই প্রবণতা নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। এক কাপ চায়ে সাধারণত ২০ হতে ৬০ মিলিগ্রাম ক্যাফিন থাকে। তাই প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ কাপের বেশি চা খাওয়া একেবারেই উচিত হবে না।

ত্বকের ক্যান্সার

Related Post

বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, ত্বক ক্যান্সারের নেপথ্যে রয়েছে ঘন ঘন দুধ-চা খাওয়ার অভ্যাস। এই পানীয় খেলে যে ক্যান্সার হবে, এমন ধারণার বৈজ্ঞানিক কোনও ব্যাখ্যা না পাওয়া গেলেও ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে এই চা।

অ্যালার্জি

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিক থেকে পাওয়া এক তথ্য বলছে, ঘন ঘন চা খেলে ত্বকে এগজ়িমা, ডার্মাটাইটিসের মতো সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। যে কারণে ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, ঘন ঘন র‌্যাশ বেরোনো বা ব্রণের সমস্যাও বেড়ে যেতে পারে।

প্রদাহ

অনেকেই চায়ে আদা বা ছোট এলাচ দিয়ে খেতে পছন্দ করেন। এই দুই উপাদানের গুণে স্বাদে, বা গন্ধে অতুলনীয় হয়ে ওঠে চা। তবে বার বার এই জাতীয় চা খেলে ত্বকে প্রদাহ আরও বেড়ে যেতে পারে।

কোলাজেনের মাত্রায় হেরফের হওয়া

আসলে কোলাজেন এমন এক ধরনের প্রোটিন, যা ত্বকের টান টান ভাব বজায় রাখতে সাহায্য করে থাকে। চায়ের মধ্যে থাকা ক্যাফিন ও দুধ শরীরের প্রাকৃতিক কোলাজেনের মাত্রা আরও কমিয়ে দিতে পারে। যে কারণে অল্প বয়সেই ত্বকে বয়সের ছাপ পড়তে দেখা যায়।

হরমোনের মাত্রায় হেরফের হওয়া

অতিরিক্ত চা খাওয়ার প্রবণতার কারণে শরীরে নানা রকম হরমোন ক্ষরণের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। যার প্রভাব পড়ে ত্বকের উপরেও। ত্বকে সেবাম উৎপাদনের পরিমাণও বাড়িয়ে দিয়ে ব্রণে মুখ ভরিয়ে তুলতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on অক্টোবর ১৮, ২০২৩ 4:09 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

কৃষকদের জলবায়ু-সহিষ্ণু করে তুলতে একসঙ্গে কাজ করবে আইফার্মার এবং উইনরক

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আইফার্মার লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে গত ৮ মে আইফার্মার লিমিটেড ও…

% দিন আগে

তাহসানের সঞ্চালনায় ফ্যামিলি ফিউড-এর বাংলাদেশি সংস্করণ বঙ্গতে!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের অন্যতম শীর্ষ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ’তে শীঘ্রই আসছে জনপ্রিয় মার্কিন…

% দিন আগে

এসএসসিতে গড় পাসের হার ৮৩.০৪ শতাংশ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৮৩ দশমিক…

% দিন আগে

এসএসসি’র ফল প্রকাশ: প্রধানমন্ত্রীর কাছে এসএসসি’র ফলাফল হস্তান্তর

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং সমমান পরীক্ষার ফল…

% দিন আগে

ছবিতে লুকিয়ে রয়েছে একটি হেডফোন: আপনি কী সেটি খুঁজে বের করতে পারবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ছবিতে দেখা যাচ্ছে ছোট্ট সব্জির বাগান। এরমধ্যে কোথা থেকে এসে…

% দিন আগে

সত্যিই এক পাগল করার মতো প্রাকৃতিক দৃশ্য

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। রবিবার, ১২ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে