হাত-পায়ের পাতা ও দাঁতে ফুটে উঠলে হতে পারে অস্টিয়োপোরোসিস

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণ বয়স ৩০-এর কোঠা পেরোলেই অস্টিয়োপোরোসিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পেতে থাকে। হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়ার কারণে সাধারণত অস্টিয়োপোরেসিসের সমস্যা দেখা দেয়।

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই হাড়ের নানা সমস্যা বাড়তে থাকে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে দেখা যায় যে, একটা বয়সের পর পুরুষদের চেয়ে মহিলাদের মধ্যেই অস্টিয়োপোরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি থাকে।

এক সমীক্ষা বলছে, বিশ্বে বয়সজনিত কারণে হাড়ে যে সমস্যা কিংবা রোগগুলো দেখা দেয়, তারমধ্যে অস্টিয়োপোরোসিস হলো অন্যতম। বয়স ৩০-এর কোঠা পেরোলে এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা তখন বৃদ্ধি পেতে থাকে। হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়ার কারণে সাধারণত অস্টিয়োপোরেসিসের সমস্যাও দেখা দেয়।

Related Post

মহিলাদের রজোনিবৃত্তির পর হতে তাদের মধ্যে অন্যান্য শারীরিক সমস্যার পাশাপাশি অস্টিয়োপোরোসিসের সমস্যা প্রবলভাবে দেখা দিতে পারে। সাধারণ ক্যালশিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর অভাবে হাড়ের রোগ হয়। তবে আপনি অস্টিয়োপোরোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন কি-না, তা বুঝবেন কীভাবে? কয়েকটি লক্ষণ দেখে বোঝা যায়।

বার বার হাড় ভাঙা

সামান্য চোট, আঘাত লাগলেই হাড় ভেঙে যেতে পারে। হাড়ের জোর যে কম, তা এতোদিনে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন। তবে এই লক্ষণ যে অস্টিয়োপোরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হলেও হতে পারেন, তা কিন্তু আপনি জানতেন না।

কোমরে যন্ত্রণা হওয়া

কোমরে ব্যথা যেনো নিত্যদিনের সঙ্গী। ভারি কাজ করলেও হয় কোমরে ব্যথা, না করলেও হতে পারে কোমরে ব্যথা। একটা বয়সের পর হাড়ের ঘনত্বও কমতে শুরু করলে এই ধরনের ব্যথা হতে পারে। দীর্ঘদিন ধরে এই ধরনের ব্যথায় জানান দেয় অস্টিয়োপোরোসিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে কি-না।

দাঁতের সমস্যা হওয়া

শুধুমাত্র মিষ্টিজাতীয় খাবার খেলেই দাঁত ক্ষয়ে যায় না। মাড়ি থেকে দাঁত আলাদা হয়ে যাওয়া, রক্ত পড়ার মতো সমস্যা অস্টিয়োপোরোসিসের লক্ষণও হতে পারে।

পায়ের পাতায় বিকৃতি হওয়া

অস্টিয়োপোরোসিস হলে পায়ের পাতার আকার অদ্ভুতভাবে বিকৃতও হয়ে যেতে পারে। হ্যামার টো, ফ্ল্যাট ফিটের মতো সমস্যা দেখলে বোঝা যায় যে আপনি অস্টিয়োপোরোসিসে আক্রান্ত হয়েছেন কি-না।

গোড়ালিতে ব্যথা হওয়া

মাটিতে পা রাখতে গেলে গোড়ালির ভিতর পিন ফোটার অনুভূতিও হচ্ছে। বেশ কিছুদিন পর আবার ব্যথাও হতে শুরু করেছে। চিকিৎসকরা বলেছেন, অস্টিয়োপোরোসিসে আক্রান্ত হলেও এই লক্ষণ দেখা যেতে পারে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on অক্টোবর ২৫, ২০২৩ 4:21 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

বরফে আচ্ছাদিত রাস্তা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ৮ ডিসেম্বর ২০২৫ খৃস্টাব্দ, ২৩ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২…

% দিন আগে

শীতে ঠোঁট ফাটা হতে রক্ষা পেতে করণীয়

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শীতকালে বাতাসের আর্দ্রতা কমে যাওয়া এবং ঠাণ্ডা হাওয়ার কারণে মুখের…

% দিন আগে

নাসার রোভার মঙ্গল গ্রহে বজ্রপাতের সম্ভাব্য শব্দ ধারণ করলো

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা পরিচালিত পারসিভিয়ারেন্স রোভার সম্প্রতি…

% দিন আগে

স্বাস্থ্য সচেতন হতে হলে আপনাকে অবশ্যই পেয়ারা খেতে হবে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্বাস্থ্য সচেতন জীবনের অন্যতম শর্ত হলো সঠিক খাবার বেছে নেওয়া।…

% দিন আগে

ভারতের দক্ষিণি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানার না বলা কথা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ভারতের দক্ষিণি সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা তার জীবনের অভিজ্ঞতার…

% দিন আগে

যুক্তরাষ্ট্রে বিক্রির জন্য ‘মেঘে ভাসমান’ বাড়ি!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের এক বাসিন্দা তার বাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন-“ফ্লোটিং…

% দিন আগে