দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্পেনের সামাজিক অধিকার রক্ষা বিষয়কমন্ত্রী ইয়ন ব্যালেরা বলেছেন যে, অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার উপর বর্বর গণহত্যা চালানোর কারণে ইহুদিবাদী ইসরায়েলের যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিচার করা উচিত।
তিনি ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করারও আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, গাজার নারী, শিশু এবং বেসামরিক লোকজনের ওপর ইসরাইল যে বর্বরতা চালাচ্ছে তার জন্য তেল আবিবের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পক্ষ হতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে হবে। -খবর আরব নিউজের।
স্পেনের এই মন্ত্রী গাজায় ইসরাইলের হত্যাযজ্ঞ বন্ধ করার জন্য দৃঢ় এবং সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নিতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতি আহ্বানও জানান।
এক্সে শেয়ার করা এক আবেগঘন ভিডিও বার্তায় ইয়ন ব্যালেরা বলেছেন, আজকে গাজায় এই নারকীয় রাত পার হওয়ার পর ইউরোপীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে আমার খুব সহজ অথচ গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হচ্ছে- আমাদেরকে ইসরায়েলের এই রকম গণহত্যার সহযোগী বানাবেন না। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নাম দিয়ে কোনো কাজ করবেন না।
গাজায় ইসরায়েল ইন্টারনেট এবং টেলিফোন ব্যবস্থা কেটে দিয়ে যে হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে সে সম্পর্কে স্পেনের মন্ত্রী বলেছেন, এর মধ্যদিয়ে পরিষ্কার হয়ে গেছে যে, এই গণহত্যা চালানোর জন্য ইসরায়েলকে কোন রকমের পরিণতিই ভোগ করতে হবে না, সেই বিষয়টি তারা নিশ্চিত হয়েছে।
ইয়ন ব্যালেরা আরও বলেন, আমাদের নিষ্ক্রিয়তা ইসরায়েলকে গণহত্যা চালাতে আরও সহযোগিতা করছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হতে ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার ওপর নিষ্ঠুর ও বর্বরভাবে বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। ইসরাইলের হামলায় এই পর্যন্ত কমপক্ষে সাড়ে ৮ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যারমধ্যে রয়েছে ৪ হাজারেও বেশি শিশু।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org