ডিমের কয়েকটি পদ ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে খেলে ওজন ঝরবে দ্রুত

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রতিদিন পাতে ডিম রাখলে ওজন কমানোর কাজও সহজ হবে। তবে কীভাবে ডিম খেলে দ্রুত রোগা হওয়া যাবে অর্থাৎ ওজন ঝরবে সেই বিষয়টি আজ জেনে নিন।

ওজন কমাতে গিয়ে কম কাঠখড় পোড়াতে হয় না। জিমে যাওয়া, ডায়েট করা এমনকি শরীরচর্চা- পরিশ্রমের ত্রুটি রাখেন না অনেকেই। সেইসঙ্গে খাওয়া-দাওয়ার নিয়ম মেনে চলা তো রয়েছেন। তবে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে উপোস করা অর্থাৎ না খেয়ে থাকাকেই বেশি ভরসা রাখেন অনেকেই। এই বিষয়ে পুষ্টিবিদরা জানিয়েছেন, উপোস করে থেকে ওজন কমানোর ধারণা একেবারেই ভুল। বরং দ্রুত ওজন কমাতে হলে ডিম খেতে পারেন বেশি করে। কারণ হলো ডিমে রয়েছে ওজন কমানোর মন্ত্র। পুষ্টিবিদরা বলেছেন যে, ডিম মাত্রই পুষ্টির অন্যতম সমৃদ্ধ একটি উৎস। ডিমে রয়েছে ফসফরাস, আয়রণ, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, জিঙ্ক, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, সেলেনিয়ামের মতো উপকারী বেশ কিছু উপাদান। পুষ্টিবিদরা মনে করেন যে, ডিমের সাদা অংশের তুলনায় কুসুমে প্রোটিনের পরিমাণ বেশি থাকে। শুধু সাদা অংশ কিংবা শুধু ডিমের কুসুমের পরিবর্তে তারা গোটা ডিম খাওয়ারই পরামর্শ দেন।

কারণ হলো দীর্ঘক্ষণ শরীরচর্চার পরে দুর্বল পেশি সবল করতে ডিম খাওয়াটা জরুরি। তাছাড়াও ডিমে থাকা প্রোটিন হজম প্রক্রিয়াকে আরও বেশি শক্তিশালী করে তোলে। তাই প্রতিদিন পাতে ডিম রাখলে ওজন কমানোর কাজও সহজ হবে। তবে কীভাবে ডিম খেলে দ্রুত রোগা হওয়া সম্ভব, জেনে নিন সেই বিষয়টি।

Related Post

স্যুপ

ডিম ভাজা, সেদ্ধ কিংবা অমলেট তো খাওয়া হয়। তবে ডিম দিয়ে স্যুপ তৈরি করা যায়, তা অনেকেই জানতেনই না। তবে শুধু ডিমই নয়, এই স্যুপে থাকে ডাল। স্যুপের অন্যান্য উপকরণ হলো, পেঁয়াজ, টোম্যাটো, আদাকুচি, হলুদ, লাল লঙ্কার গুঁড়ো। ডালও ওজন কমাতে বেশ উপকারী। যে কারণে এই খাবারটি খেলে ওজন হাতের মুঠোয় রাখা সমস্যার নয়।

স্যালাড

ডিম দিয়ে তৈরি করতে পারেন সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর স্যালাড। সেদ্ধ ডিম, মেয়োনিজ, সর্ষে, কুচি করে কাটা সেলেরি পাতা, পেঁয়াজ কুচি একসঙ্গে ভালো করে মিশিয়ে নিলেই স্যালাড তৈরি করা যাবে। সকালের নাস্তায় এই স্যালাড থাকলে ওজন কমবে খুব দ্রুত।

স্টাফড ক্যাপসিকাম

ক্যাপসিকামও ওজন কমাতে সাহায্য করে। ডিম ও ক্যাপসিকাম দিয়ে তৈরি হতে পারে সুস্বাদু ও শৌখিন একটি খাবার। সেদ্ধ ডিম নানা মশলা দিয়ে একটি পুর বানিয়ে নিয়ে ক্যাপসিকামের মধ্যে ভরে নিতে হবে। এরপর পুর ভরা ক্যাপসিকাম সেদ্ধ করে নিলে তৈরি সুস্বাদু একটি পদ। আর এইসব খাবার স্বাস্থ্যের জন্যও ভালো এবং ওজন ঝরাতেও কাজে আসবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on নভেম্বর ৭, ২০২৩ 11:29 পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

এই ছবিতে লুকিয়ে আছে খরগোশ: আপনি কী সেটি খুঁজে বের করতে পারবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে ছবিটি আপনারা দেখছেন সেটি একটি জঙ্গলের রাস্তার। সেই রাস্তায়…

% দিন আগে

এক অসাধারণ দৃশ্য: যেনো শিল্পীর তুলিতে আঁকা দৃশ্য!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১…

% দিন আগে

রক্তে শর্করা বেড়ে গেলে পাকা আম খাবেন কীভাবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আমরা জানি পাকা আম খেলে রক্ষে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়।…

% দিন আগে

আপনার স্মার্টফোন আগুনের মতো গরম হচ্ছে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই গ্রীষ্মে শুধুমাত্র শরীরই নয়, গরম হচ্ছে আমাদের স্মার্টফোনটিও। ফোন…

% দিন আগে

দেশে ফিরেই মোনালিসা অভিনয়ে ফেরার কথা জানালেন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এক সময় ছোট পর্দার ব্যস্ত মুখ হিসেবে পরিচিত ছিলেন মোজেজা…

% দিন আগে

এই ছবির মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে একটি হরিণ: আপনি কী খুঁজে বের করতে পারবেন?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই জঙ্গলের মধ্যে নদী রয়েছে। রয়েছে সার দেওয়া গাছ। চারপাশে…

% দিন আগে