দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাপের কথা শুনলে অনেকেরই গা শিউরে ওঠে। কিন্তু অনেক দেশে আবার এই সাপের মাংস প্রিয়। এবার পিৎজা হাট নিয়ে এলো ‘সাপের পিৎজা’! নিশ্চয়ই আপনার গা শিউরে উঠেছে?
পৃথিবীতে এমন মানুষ মনে হয় খুঁজে পাওয়া যাবে যে পিৎজা খেতে ভালোবাসে না। সেটি যদি হয় পিৎজা হাট এর তাহলে তো আর কথাই নেই। এবার সেই পিৎজা হাট নিয়ে এলো ভিন্ন স্বাদের এক পিৎজা। তবে এটি সাধারণ পিৎজা নয় এতে থাকবে সাপের মাংস! হংকংয়ের পিৎজা হাটে পাওয়া যাবে পিৎজার নতুন এই ফিউশনটি!
হংকংয়ের একটি শত বছর পুরনো রেস্টুরেন্ট হলো ‘সের ওং ফান’ রেস্টুরেন্ট। এই রেস্টুরেন্টে সাপের মাংস দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবার পাওয়া যায়। এবার এই রেস্টুরেন্টের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে সাপের মাংস দিয়ে তৈরি এই পিৎজা নিয়ে এসেছে ‘পিৎজা হাট’। পিৎজার এই নতুন ফিউশনে থাকবে মূলত কাটা সাপের মাংস, কালো মাশরুম ও শুকনো চাইনিজ হ্যামের টপিংস। এই পিৎজা প্রচলিত টমেটো সসের পরিবর্তে অ্যাবালোন সসের সঙ্গেও পরিবেশন করা হবে।
স্থানীয় ক্যান্টোনিজ (চীনের আঞ্চলিক ভাষা) ভাষায় একটি কথা প্রচলিত রয়েছে, ‘সাপ খাওয়ার সবচেয়ে উপযুক্ত সময় তখন, যখন শরতের বাতাস বইতে শুরু করে দেয়।’ কারণ এই সময় শীতকালে আবহাওয়ার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য সাপ বেশ মোটাসোটাও হয়ে যায়। অনেকেরই বিশ্বাস, সাপের মাংসে রয়েছে নানা ধরনের ওষুধি গুণ। এটি ত্বকের জন্যও উপকারী এবং শরীরও গরম রাখে। সেইসঙ্গে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশ যেমন- ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডে সাপের মাংস খুবই জনপ্রিয় একটি খাবার।
হংকংয়ের এই সাপের পিৎজা খেয়ে এক ব্যক্তি জানিয়েছেন, ‘পিৎজার টেক্সচারটি অনেকটা মুরগির মতোই। আবার এতে কিছুটা মাছের স্বাদও পাওয়া যাবে। এছাড়াও শীতকালে উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবার হিসেবে আমার এটি বেশ পছন্দ।’ সাপের এই পিৎজার সাইজটি হলো ৯ ইঞ্চি। ‘পিৎজা হাট’ জানিয়েছে, এই সাপের পিৎজাটি আগামী ২২ নভেম্বর পর্যন্ত পাওয়া যাবে। তথ্যসূত্র : নিউইয়র্ক পোস্ট।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org