দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত মাটিতে পা রাখলে সেটি মাটির সঙ্গে পুরোপুরি লেগে থাকে না, তবে অনেকের দেখা যায় মাটিতে পা ফেললে পায়ের পাতা সম্পূর্ণভাবে মাটি স্পর্শ করে। এই ধরনের পায়ের পাতার সমস্যায় ভুগলে যা করতে হবে আপনাকে।
এই সমস্যা কারও কারও ক্ষেত্রে জন্মগত, কারও আবার জীবনের কোনও এক সময় দেখা দিতে শুরু করেছে। কীভাবে এই ধরনের যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাবেন?
পায়ের পাতার এই সমস্যাকে বলা হয় ফ্ল্যাট ফুট। এই সমস্যা থাকলে অনেক রকম সমস্যার সম্মুখীনও হতে হয়। শরীরের ভারসাম্য মাঝে-মধ্যেই বিগড়ে যেতে পারে, শরীরচর্চা করতেও সমস্যা হয়, জীবন চলার মাঝে সাধারণ কিছু কাজ করতে গিয়েও সমস্যায় পড়তে হয়। ফ্ল্যাট ফুটের কারণে অনেকেরই প্রায় সময় তীব্র যন্ত্রণাও করে। এই সমস্যা থাকলে কোনও রকম কার্ডিও ব্যায়াম করা যায় না, যে কারণে এই সমস্যা সামগ্রিক ফিটনেসের উপরে প্রভাব ফেলে। আপনিও কী এই ধরনের সমস্যায় ভুগছেন? প্রতিদিনের নিয়মে কী কী মেনে চললে এই সমস্যাকে উপেক্ষা করা যাবে? আজ জেনে নিন সেটি।
# ফ্ল্যাট ফুট থাকলে সাধারণ জুতা পরলে আরও সমস্যা বাড়বে। ফ্ল্যাট ফুট রয়েছে এমন ব্যক্তিরা নকশা করা জুতো পরতে হবে। সাধারণ জুতো পরলে পায়ের সমস্যা এবং যন্ত্রণা আরও বেড়ে যেতে পারে।
# ফ্ল্যাট ফুট থাকলে ভারি শরীরচর্চা করাও মুশকিল হয়ে পড়ে। এই ক্ষেত্রে শরীর চাঙ্গা রাখতে সাঁতার কাটা, সাইক্লিং এবং যোগাসনের মতো হালকা ব্যায়ামও করতে পারেন।
# এই সমস্যা বাড়লে সময় ক্ষেপণ না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। চিকিৎসকরা প্রয়োজন বুঝে ফিজিও থেরাপি করানোর কথাও বলতে পারেন। বাড়িতে কাফ রেইসেস, টো কার্লস, টাওয়েল স্ক্রানচেজ়ের মতো পায়ের ব্যায়াম নিয়ম করে করতে পারেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org