দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইসরাইলের সঙ্গে ৪ দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী তৃতীয় দিনে আরও ১৭ জিম্মিকে মুক্তি দিলো গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। যারমধ্যে ১৩ জন হলেন ইসরায়েলি। বাকি ৪ জন বিদেশি নাগরিক।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল রবিবার (২৬ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে জানায় যে, জিম্মিদের রেডক্রসের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) বরাত দিয়ে এই তথ্য দিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
তবে মিসরের সংবাদমাধ্যম আল কাহেরা টিভি জানিয়েছে যে, হামাসের কাছ থেকে ১৩ ইসরায়েলি ও ৫ বিদেশি জিম্মিকে বুঝে নেওয়ার কাজ শুরু করেছে রেডক্রস। মিসরের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা গাজা থেকে আসা এইসব জিম্মিদের মুক্তির প্রক্রিয়াও শুরু করেছেন বলে জানিয়েছে এই সংবাদমাধ্যমটি।
অপরদিকে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি বলেছে, হামাস নিশ্চিত করেছে তারা ১৩ ইসরায়েলি, ৩ থাই নাগরিক এবং এক রাশিয়ানকে রেডক্রসের হাতে তুলে দেয়।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এক প্রতিবেদনে বলেছে, রবিবার হামাস যে ১৭ জনকে মুক্তি দিয়েছে তাদের মধ্যে ৪ বছরের একটি শিশুও রয়েছে। ওই শিশুর নাম আবিগালি ইদান। শিশুটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের দ্বৈত নাগরিক। এই শিশুর মুক্তির মাধ্যমে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর প্রথমবার কোনো মার্কিন নাগরিক হামাসের কাছ থেকে মুক্তি পেলো।
উল্লেখ্য, কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরাইল-হামাস ৪ দিনের যুদ্ধবিরতির চুক্তি অনুযায়ী, হামাস ৫০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগার হতে ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে। সেই অনুযায়ী মুক্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়। তবে হামাস মানবিকতা দেখিয়ে দুবারই অতিরিক্ত আরও জন করে বিদেশী নাগরিককে মুক্তি দেয়।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org