দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ যে কোনো সংসারেই স্বামী-স্ত্রীর টুকটাক ঝামেলা লেগে থাকে- সেটিই স্বাভাবিক। তবে এবার চার দেওয়ালের বাইরে স্বামী-স্ত্রীর এই ঝামেলায় ঘটেছে বড় বিপত্তি। মিউনিখ থেকে ব্যাংককগামী লুফথানসার এক ফ্লাইটে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়ায় যন্ত্রণায় মাঝপথেই বিমানের জরুরি অবতরণ করতে হয়েছে!
সম্প্রতি দিল্লিতে জরুরি অবতরণ করে ব্যাংককগামী ওই ফ্লাইটটি। একটি সূত্র জানিয়েছে যে, ওই ব্যক্তি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। ক্রুরা অভিযোগ করেন, ওই ব্যক্তি তার স্ত্রীর সঙ্গে চিৎকার করে ঝগড়া করছিলেন বিমানের মধ্যেই। তিনি স্ত্রীর দিকে খাবার ছুড়ে মারেন এবং একপর্যায়ে লাইটার দিয়ে একটি কম্বল পোড়ানোর চেষ্টাও করেন। বিমানের কর্মীরা বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে ব্যর্থ হন। সে কারণে বিমানটিকে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা যায়, জার্মান ওই নাগরিকের স্ত্রী একজন থাই নাগরিক। মাঝ আকাশে তাদের মধ্যে তর্ক শুরু হওয়ার পর পাইলট নয়াদিল্লির আইজিআই বিমানবন্দরে অবতরণের অনুমতি চান। বিমানটি দিল্লির আইজিআই বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তখন বিষয়টি এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলকে জানানো হয়। পরে ওই দম্পতিকে সিআইএসএফ এবং অভিবাসন কর্মকর্তারা নামিয়ে নেন। তবে বিষয়টি দিল্লি পুলিশের নজরে আনা হয়নি।
একজন কর্মকর্তা বলেছেন যে, বিমানে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া শুরুর পর ওই স্ত্রী কেবিন ক্রুদের হস্তক্ষেপ চান। ওই নারী অভিযোগ করেছেন যে, তার স্বামী তাকে হুমকি দিচ্ছেন। এই অভিযোগের পর তাদের দু’জনকেই মিউনিখে ফেরত পাঠানো হয়। তথ্যসূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org