দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বিনাকর্তনেই ছাড়পত্র পেয়েছে বলিউডের ‘এ’ গ্রেড সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত অর্থাৎ প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য নির্মিত চলচ্চিত্র ‘অ্যানিমেল’।
বিষয়টি গণমাধ্যমে নিশ্চিত করে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কিবরিয়া ফিল্মস। তারা জানিয়েছে, তাদের জমা দেওয়া ছবিটির কোনো অংশই বাদ দিতে বলেনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড। যে কারণে শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে।
তবে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানটি বলিউডের অরিজিন্যাল সংস্করণটি জমা দেয়নি। তারা ইউএই অর্থাৎ সংযুক্ত আরব আমিরাত কিংবা আরব দেশের সংস্করণটি পাঠায়। যে কারণে বাংলাদেশের দর্শকরা আন্তর্জাতিক ভার্সনের চেয়ে প্রায় ৩০ মিনিট কম দেখতে পাচ্ছেন ছবিটির।
বিষয়টি একটি সংবাদ মাধ্যমকে নিশ্চিত করেন কিবরিয়া ফিল্মসের কর্ণধার গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিপু। তিনি জানিয়েছেন, মুসলিম কিংবা আরব দেশে যে সংস্করণটি মুক্তি পায় সেটিই সেন্সরের জন্য বোর্ডে জমা দেওয়া হয়। কামাল কিবরিয়া লিপু বলেন, আমরা বাংলাদেশের সেন্সর আইন এবং সিনেমা হলের কথা বিবেচনায় নিয়ে পৃথক ভার্সন মুক্তি দিচ্ছি। ৮ ডিসেম্বর ছবিটি পর্দায় আসছে।
ভারতীয় সেন্সর বোর্ড হতে রণবীর কাপুর অভিনীত ‘অ্যানিমেল’ ছবিটি ‘এ’ ক্যাটাগরির সার্টিফিকেট পায়। এতে অতিরিক্ত পরিমাণে নৃশংস দৃশ্য এবং যৌনতা থাকায় এমন সার্টিফিকেট দিয়েছে দেশটির বোর্ড। ‘অ্যানিমেল’ ভারতীয় সেন্সর বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী এই ছবিটির রান টাইম ৩ ঘণ্টা ২১ মিনিট ২৩ সেকেন্ড। অপরদিকে বাংলাদেশে সেন্সরে জমা দেওয়া কপিতে রান টাইম ২ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট।
সাফটা চুক্তির আওতায় এই চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে। ‘অ্যানিমেল’-এর বিপরীতে বাংলাদেশ থেকে ভারত যাচ্ছে ওয়ালিদ আহমেদ পরিচালিত ‘মেঘের কপাট’।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org