দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সম্প্রতি ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘আইইএলটিএস প্রাইজ ২০২৩’ এর বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
এই বার্ষিক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীদের ৫ হাজার পাউন্ডের আর্থিক সহায়তা দেয় ব্রিটিশ কাউন্সিল। ইংরেজিভাষী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে টিউশন ফিতে সহায়তা করতে এই আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়।
এ বছরের প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ, চীন, জাপান, হংকং, ইন্দোনেশিয়া, কোরিয়া, ফিলিপাইন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, পাকিস্তান, নেপাল এবং শ্রীলঙ্কার আইইএলটিএস পরীক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
প্রতিযোগিতামূলক আবেদন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মোট সাতজন বিজয়ী নির্বাচিত হয়েছে। বিজয়ীরা হলেন- মাইশা মালিহা (প্রথম); আশিক ভূঁইয়া (দ্বিতীয়); অনামিকা পূজা (দ্বিতীয়); আহসান সাকিব (তৃতীয়); এম এ শাদাব সিদ্দিকী (তৃতীয়); প্রবাহ বিশ্বাস (তৃতীয়) ও আলভীর হাসান (তৃতীয়)।
টম মিশশা, ডিরেক্টর বাংলাদেশ, ব্রিটিশ কাউন্সিল, বলেন, “এ বছরের আইইএলটিএস প্রাইজ বিজয়ীদের অভিনন্দন। শিক্ষার্থীদের বিশ্বসেরা বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষা গ্রহণে সহায়তা করবে এই পুরস্কার। এছাড়া, নতুন দেশ ভ্রমণ, নতুন সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হওয়া এবং বৈশ্বিক আইইএলটিএস কমিউনিটির অংশ হওয়ার সুযোগ পাবেন বিজয়ীরা।”
আইইএলটিএস প্রাইজ, আবেদনপ্রক্রিয়া এবং প্রাসঙ্গিক বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে আগ্রহীরা এই ঠিকানায় ( https://takeielts.britishcouncil.org/take-ielts/study-work-abroad/ielts-prize ) ভিজিট করতে পারেন। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org