দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ত্বকের মতো অনেকেই ঠোঁটের যত্ন নিতেও ভরসা করেন বাজারের সাধারণ প্রসাধনীর উপর। তাতে আবার হিতে বিপরীতও ঘটে। বরং ঠোঁটের যত্ন নিতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি ঘরোয়া টোটকায়।
শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে, ইতিমধ্যেই ঠোঁট ফাটতে শুরু করেছে। মহিলাদের ক্ষেত্রে লিপস্টিক পরেও ঠোঁটের ফাটল আড়াল করা যায় না। কারণ হলো এই সময় ঠোঁট একটু বাড়তি যত্ন চায়। পর্যাপ্ত যত্ন নিলে শীতেও ঠোঁটে থাকবে বসন্তের মতোই কোমলতা। শরীরের অন্যতম স্পর্শকাতর একটি অংশ হলো ঠোঁট। যে কারণে যত্নে না রাখলে ঠোঁটের চামড়া অতিরিক্ত পরিমাণে শুষ্ক হয়। ত্বকের মতোই অনেকেই ঠোঁটের যত্ন নিতে ভরসা রাখেন বাজারের সাধারণ প্রসাধনীর উপর। তাতে আবার হিতে বিপরীতও ঘটে। বরং ঠোঁটের যত্ন নিতে ভরসা রাখতে পারেন কয়েকটি ঘরোয়া টোটকায়।
# ঠোঁটের যত্নে বেশির ভাগ মানুষ পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করেন। তবে শুধু পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করলেই চলবে না। পেট্রোলিয়াম জেলির সঙ্গে সঙ্গে খানিকটা মধু মিশিয়েও নিতে পারেন। এরপর তুলো দিয়ে সারা ঠোঁটে বুলিয়ে নিতে পারেন। এতে করে আরও কোমল হবে আপনার ঠোঁট।
# ত্বকের যত্নে অনেকেই গ্লিসারিন ব্যবহার করেন। তবে ইচ্ছে করলে গ্লিসারিন ঠোঁটেও ব্যবহার করতে পারবেন। গ্লিসারিনের সঙ্গে অল্প পরিমাণ অলিভ অয়েলও মিশিয়ে ঠোঁটে মাখতে পারেন। এতে ময়েশ্চারাইজ়ারের কাজ করবে।
# অনেকের মধ্যে শীতে অতিরিক্ত ঠোঁট ফাটার প্রবণতা রয়েছে। সেই ক্ষেত্রে চালের গুঁড়োর সঙ্গে অল্প পানি মিশিয়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিট এই মিশ্রণ ঠোঁটে লাগিয়ে রাখতে হবে। এতে করে ঠোঁটের মরা চামড়া উঠে আসবে খুব সহজেই।
# আবার শুষ্ক ঠোঁটের সমস্যা এড়াতে ভরসা হতে পারেন তিলের তেলের উপর। তিলে থাকা নানা ধরনের স্বাস্থ্যকর উপাদান ভিতর থেকে যত্ন নেয় ঠোঁটের। ঠোঁট মসৃণ ও মোলায়েম রাখতে সত্যিই ভিষণ উপকারী তিলের তেল। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on ডিসেম্বর ১৭, ২০২৩ 12:21 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকেই চিকন হওয়ার জন্য রাতের খাবার না খেয়ে থাকেন। কিন্তু…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ‘গরমে চরম ব্যাপার’ নামে আকর্ষণীয় সব পুরস্কারে ভরপুর এক মেগা…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইরানের প্রশংসিত চলচ্চিত্র পরিচালক মোহাম্মদ রাসুলফকে ৮ বছরের কারাদণ্ড এবং…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ নিউ ইয়র্কের ম্যানহাটনে ফৌজদারি ঘুষ মামলায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বেসিস প্রদত্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আনন্দমুখর ও অংশগ্রহণমূলকভাবে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এমন একটি ঘটেছে সৌদি আরবে। ছেলেকে হত্যার জন্য বিচারপ্রার্থী ছিলেন…