দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ইউএনডিপি ও কক্সবাজার জেলা পুলিশ সিপিএফ নেতাদের জন্য কমিউনিটি পুলিশিং বিষয়ে একটি অংশীদারিত্বমূলক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠানের সমাপ্ত হয়েছে।
কক্সবাজার অফিস ইউএনডিপির প্রধান মিঃ কেইটা সুগিমোতো শেষ ইভেন্টে উপস্থিত ছিলেন এবং অংশগ্রহণকারীদের সাথে মতবিনিময় করেন। সিপিএফ নেতৃবৃন্দের সাথে বক্তৃতা প্রদান করতে গিয়ে বলেন, কীভাবে কার্যকরভাবে সকল কমিউনিটির সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য প্রশিক্ষণের এই অর্জনকে বাস্তবে রূপ দেওয়া যায় এবং তাদের সাথে একসাথে কাজ করা যায় সেদিকেই আমাদের বেশি গুরুত্ব দিতে হবে। কক্সবাজারে নিরাপদ পরিবেশ ও শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, ন্যায়বিচারে প্রবেশের জন্যই পুলিশ। কক্সবাজার জেলার টেকনাফ ও উখিয়াসহ ৯টি উপজেলার উপজেলা কমিটির মোট ১৫০ জন সিপিএফ সদস্যদের ৬টি ব্যাচে পর্যায়ক্রমে কমিউনিটি পুলিশিং বিষয়ক এই প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়।
মিঃ কেইটা সুগিমোতো মনে করেন, পুলিশের সঙ্গে কমিউনিটি যৌথভাবে কাজ করলে সকল অপরাধ যেমন নির্মূল করা সম্ভব, তেমনি কক্সবাজারকে নিরাপদ পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলাও সম্ভব।
কক্সবাজার জেলার শীর্ষ ব্যক্তিত্ব পাবলিক প্রসিকিউটর, আইনজীবী, সাংবাদিক নেতা, উপজেলা ও ইউপি চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, শিক্ষক, অধ্যাপক, ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া কর্মী, স্বাস্থ্য সহায়তা, সামাজিক কর্মী, এনজিও এবং মানবাধিকার কর্মীরাও এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। এই ইভেন্টে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মহিলা CPF সদস্যরাও অংশগ্রহণ করেন।
PRM এবং CSPC-এর অধীনে কমিউনিটির নিরাপত্তা, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান এবং ন্যায়বিচারে প্রবেশাধিকার বৃদ্ধির লক্ষ্যে জেলা ও উপজেলা থেকে মোট ১৫০ জন CPF নেতৃবৃন্দ এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
গত দিন ৬ষ্ঠ তম শেষ ব্যাচের CPF নেতাদের কমিউনিটি পুলিশিং এর উপর প্রশিক্ষণ কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয় এবং সফলভাবে কক্সবাজারের ১৫০ জন সিপিএফ নেতারা এই প্রশিক্ষণ সেশনটি অর্জন করতে সমর্থ হন।
উল্লেখ্য, এসপি কক্সবাজার এবং ইউএনডিপি যৌথভাবে গত ৬ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। গতকাল (১৮ ডিসেম্বর ২০২৩) এই কর্মশালাটি সমাপ্ত হয়। খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org