বুড়িগঙ্গার সমৃদ্ধ ঐতিহ্যকে ধারণ করে উদযাপিত হচ্ছে ‘গঙ্গাবুড়ি’

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সমসাময়িক শিল্প প্রকাশভঙ্গির সঙ্গে বুড়িগঙ্গা নদীর সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের মেলবন্ধনকে সুনিপুণভাবে তুলে ধরতে বৃহত্ত্ব আর্ট ফাউন্ডেশন ‘গঙ্গাবুড়ি’ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে।

রাজধানীর হাজারীবাগে আয়োজিত বৃহত্ত্ব আর্ট ফাউন্ডেশনের এই প্রদশর্নীতে পরম্পরার অভিব্যক্তি ও নদীকে উপজীব্য করে গড়ে ওঠা আখ্যানকে জীবন্ত এবং নিরাপদ রাখার বিষয়টি উঠে আসে। ইতোমধ্যে শুরু হওয়া এই প্রদর্শনীটি আগামী ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত চলবে।

জীবনধারণকারী সব নদীপথের সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের ধারাকে পরিবর্তিত করতে এই আয়োজনের সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইউরোপিয়ান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর কালচার (ইইউএনআইসি) বাংলাদেশ। একইসঙ্গে, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দ্য ঢাকা, ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশ, গ্যেটে-ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ, ইইউ ডেলিগেশন ইন বাংলাদেশ, বাংলাদেশে অবস্থিত নেদারল্যান্ড এবং স্পেনের দূতাবাস এই প্রদর্শনীর পাশে একাত্মও হয়েছে। শেহজাদ চৌধুরীর কিউরেট করা এই ‘গঙ্গাবুড়ি’ আয়োজনে ৭জন প্রসিদ্ধ বাংলাদেশি শিল্পীর কাজ প্রদর্শন করা হচ্ছে। শিল্পীরা হলেন: আমিনুল ইসলাম আশিক, অনন্যা মেহপার আজাদ, আহমেদ রাসেল, কাজী সাইদুল করিম টুসু, মো. খায়রুল আলম (সাদা), নুর এ আলা সিদ্দিকী ও শামীম আহমেদ চৌধুরী। ভাস্কর্য থেকে শুরু করে ইনস্টলেশন ও পেইন্টিং, বিবিধ শিল্পকর্মের মধ্য দিয়ে কালের আবহে ভাসা বুড়িগঙ্গার সমৃদ্ধ অতীত ও বর্তমান, পাশাপাশি পানির সাথে এই শহরের অবিচ্ছেদ্য সম্পর্কের বিষয়টি উঠে আসে।

Related Post

নদীকে ঘিরে গড়ে ওঠা গল্প আর কফিল আহমেদের গাওয়া ‘গঙ্গাবুড়ি’ গানে অনুপ্রাণিত এই প্রদর্শনীটি মূলত বাংলাদেশের প্রাকৃতিক পরম্পরা এবং শৈল্পিক উদ্ভাবনের সুগভীর বহিঃপ্রকাশ। পানির সাথে প্রাণের গভীর সম্পর্কের বিষয়টি এখানে উঠে আসে। এছাড়া, দেশের সভ্যতা গড়ে ওঠার পেছনে নদীর অবদান এবং পরিবেশগত সচেতনতা তৈরিতে শিল্পের সক্ষমতা এখানে প্রতিধ্বনিত হয়।

প্রদর্শনীতে বুড়িগঙ্গার ইতিহাস, সমস্যা এবং একটি পুনরুজ্জীবিত আগামীর সম্ভাবনাগুলো খুঁজে দেখার জন্য সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। দূষিত পরিবেশকে কীভাবে শিল্পের মধ্যদিয়ে অনুপ্রেরণা ও পুনর্জীবনের ধারায় রূপান্তরিত করা যায়, তাই এই প্রদর্শনীতে উঠে আসে। এ প্রদর্শনীতে পুরানো আখ্যান সমসাময়িক সৃজনশীলতার সঙ্গে মিশে গেছে এমন একটি শিল্প এবং পরম্পরার অনন্য সমন্বয়ের অভিজ্ঞতা পেতে মানুষকে এই প্রদর্শনীতে আসার আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। ‘গঙ্গাবুড়ি’ শুধুমাত্র একটি প্রদর্শনী নয়, বরং বুড়িগঙ্গাকে পুনরুজ্জীবিত করতে একটি যূথবদ্ধ প্রয়াস, যা জলচক্রের অংশ হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের পরিচয়কেই ধারণ করে।

রাজধানীর হাজারীবাগে গজমহল স্কুলের বিপরীতে অবস্থিত বৃহত্ত্ব আর্ট ফাউন্ডেশন, মুক্তি ট্যানারির (ভবন-১) ছাদে বৃহস্পতিবার বাদে প্রতিদিন সকাল ৮টা হতে রাত ৮টা এই প্রদর্শনী চলবে। বিস্তারিত জানতে ফোন করুন- ০১৯১০৪০০৪২৫, ০১৬৮৭৬২৮৩৯৮

বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন: জুলিয়েট মন্ডল, কমিউনিকেশনস ম্যানেজার, সাউথ এশিয়া, ব্রিটিশ কাউন্সিল ইমেইল: Juliet.Mondol@bd.britishcouncil.org

খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on ডিসেম্বর ২৪, ২০২৩ 8:57 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

রাজবাড়ী বড় মসজিদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…

% দিন আগে

পুষ্টিবিদরা যা বলেন: সুজি খাওয়া উপকারী নাকি ক্ষতিকর?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…

% দিন আগে

বাংলা এবং হিন্দিতে ‘দরদ’-এর ট্রেলার ও গান প্রকাশ [ট্রেলার]

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…

% দিন আগে

মুরগির লেগপিস প্রতিদিন খাওয়া কী ভালো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…

% দিন আগে

উপদেষ্টা নাহিদকে নিয়ে নানা অপপ্রচার: সাবধান করেছেন সমন্বয়ক মাসউদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…

% দিন আগে

ইলন মাস্ককে এক লাখ সরকারি চাকরি বাতিলের দায়িত্ব দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…

% দিন আগে