দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেখা যায় দিনের পর দিন এই ব্ল্যাকহেড্স নাকের কিংবা থুতনির উন্মুক্ত রন্ধ্রের উপর জমতে থাকলে তা দেখতে মোটেও ভালো লাগে না। এছাড়াও দাগছোপহীন, নিটোল ত্বকে অবাঞ্ছিত কিছু থাকা মোটেও কাম্য নয়।
বিশেষ করে শীতকালে আর্দ্রতায় টান পড়লেও অনেক সময় তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যা থেকেই যায়। সেবাম ও বিন্দুর মতো ফুটে উঠতে দেখা যায়। খুব ভালোভাবে না দেখলে প্রাথমিক অবস্থায় বোঝাও যায় না সেটি। তবে দিনের পর দিন এই ব্ল্যাকহেড্স নাকের কিংবা থুতনির উন্মুক্ত রন্ধ্রের উপর জমতে থাকলে তা এক সময় বেশ স্পষ্ট হয়ে ওঠে। অথচ দাগছোপহীন, নিটোল ত্বকে অবাঞ্ছিত কিছু থাকা কিন্তু মোটেও কাম্য নয়। এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞেরা বলেছেন, এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে মাসে একটা দিন সালোঁয় গিয়ে ফেশিয়াল করলেই হবে না। নিয়মিত ঘরোয়া স্ক্রাব দিয়ে ত্বক পরিচর্যা করতে হবে আপনাকেই।
চিনি ও নারকেল তেল
মোটা দানার চিনি হলে স্পর্শকাতর ত্বকে সমস্যা হতেই পারে। তাই চিনি গুঁড়ো করে নিন। এরসঙ্গে মিশিয়ে নিন নারকেল তেল। এরপর হালকা হাতে মুখে ঘষতে থাকুন। মিনিট তিনেক পর ঈষদুষ্ণ পানিতে দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। আর তখন মৃত কোষ সরিয়ে, ত্বককে ভিতর থেকে আরও উজ্জ্বল করে তুলতে পারে এই টোটকা।
ওটমিল ও টক দই
এখন মিক্সিতে ওট্স গুঁড়ো করে নিন। টক দইয়ের সঙ্গে ওই ওটমিলের গুঁড়ো মিশিয়ে মুখে মেখে রাখতে হবে। এবার হালকা হাতে ঘষে নিন। কিছুক্ষণ পর ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ত্বক থেকে অতিরিক্ত তেল শুষে নিতে সাহায্য করে এই ওটমিল। অপরদিকে ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে এই টক দই।
শসা ও ব্রাউন সুগার
ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ভিষণ উপকারী শসার রস। সঙ্গে ব্রাউন সুগার-এর মিশ্রণ ব্ল্যাকহেড্স ও হোয়াইটহেড্স-এর সমস্যা দূর করতে সাহায্যও করে।
গ্রিন টি স্ক্রাব
আপনি চা খাওয়ার পর গ্রিন টি-ব্যাগ ফেলে দেন নিশ্চয়ই? ফেলে না দিয়ে টি-ব্যাগ থেকে চা পাতাগুলো বের করে নিন। ব্লেন্ডারে মিহি করে ব্লেন্ড করে সেটি নিয়ে মুখে মেখে রাখুন। হালকা হাতে নাক ও ঠোঁটের চারপাশে ঘষে নিতে হবে। এরপর ঈষদুষ্ণ পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
নুন ও লেবুর রস
তবে একটি কথা মনে রাখবেন স্পর্শকাতর ত্বকের জন্য এই টোটকা নয়। বিশেষ করে যাদের ত্বক অতিরিক্ত রুক্ষ্ম, অথচ ব্ল্যাকহেড্স-এর সমস্যাও রয়েছে, তারা লেবুর রসের সঙ্গে লবণ মিশিয়ে মুখে মাখতে পারেন। ব্ল্যাকহেড্স দূর হবে খুব কম সময়ের মধ্যে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org