দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই ছবিটিই বলে দেবে আপনার চরিত্রের একটি বিশেষ দিক। আর তা হলো আপনি কী আসলেও হিংসুটে? নাকি একজন দয়ালু? ছবিটি আপনি যেভাবে প্রথম দেখবেন, সেই দেখার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে এর উত্তর।
প্রকৃতিগতভাবে এক একজন মানুষ এক একরকম হয়ে থাকেন। প্রত্যেকেই দোষে গুণেই তৈরি। তবে অনেক সময় আমরা নিজেরাও তা বুঝতে পারি না। আমাদের দোষ কোথায় কিংবা গুণ কতোখানি? যুগে যুগে বহু দার্শনিক বলে গেছেন, মানুষ চেনার আগে নিজেকে চেনা বেশি জরুরি। আপনি কী সেই উপদেশ নেবেন চেষ্টা করে দেখবেন নিজেকে চেনার জন্য?
এই ছবিটি দু’ভাবে দেখা যেতে পারে। প্রথমত, আপনার চোখে প্রথমেই পড়তে পারে একজন মহিলা ও শিশুর মুখ। অথবা দ্বিতীয়ত, আপনি প্রথমে দেখবেন একটি গাছের মধ্যে লুকিয়ে থাকা ধূসর এক নারী শরীরকে।
যদি মহিলা ও শিশুর মুখ প্রথমেই দেখে থাকেন, তাহলে আপনি একজন দয়ালু মানুষ। আপনার জীবন দর্শনের মধ্যেও রয়েছে শান্তি। আপনি মেজাজ হারান না তা কিন্তু নয়, তবে সেটি কিঞ্চিত কদাচিৎ। অশান্তি এড়িয়ে চলতে সাধারণভাবে ভালোবাসেন আপনি।
অপরদিকে, আপনি যদি একটি ধূসর গাছে লুকিয়ে থাকা নারী শরীর দেখেই থাকেন, তাহলে আপনার মধ্যে রয়েছে কিন্তু হিংসুটে ভাব। আপনাকে পেরিয়ে কেও এগিয়ে যাক, সেটা মেনে নিতে পারেন না আপনি কখনও। কেরিয়ারেও আপনি একটু বেশিই উচ্চাকাঙ্ক্ষী। নিজের সেরাটা .যেমন আপনি দেন, সেরাটুকুও পেতে আপনি ভালোবাসেন। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org