দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ হরমোনের সমতা বজায় রাখতে হলে কয়েকটি খাবার যেমনিভাবে নিয়মিত খেতে হবে, ঠিক তেমন বেশ কয়েকটি খাবার আপনাকে জীবন থেকে বাদও দিতে হবে।
সাধারণভাবে পিসিওডি থাকলে মেদ ঝরানো কঠিন হয়ে পড়ে। আর তখন নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হয়, রাশ টানতে হয় খাওয়া-দাওয়ায়। তবে পিসিওডি হলে রোগীদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা সবার আগে জরুরি একটি বিষয়। যদি ওজন নিয়ন্ত্রণে না থাকে, তাহলে এই রোগ আরও বাড়াবাড়ি আকার ধারণও করতে পারে। তাই আপনাকে ওজন হাতের মুঠোয় রাখতে হবে। বাকিদের ওজন কমাতে যতোটা কালঘাম ছোটে, পিসিওডি থাকলে তার চেয়েও কয়েক গুণ বেশি পরিশ্রম করতে হবে। তবে পুষ্টিবিদরা বলেছেন, হরমোনের সমতা বজায় রাখতে হলে কয়েকটি খাবার যেমনিভাবেচ নিয়মিত খেতে হবে, ঠিক তেমন বেশ কয়েকটি খাবার জীবন থেকে বাদও দিতে হবে।
হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী ধরনের খাবার খেতে হবে
ফল
পিসিওডি থাকলে ফল খেতে হবে বেশি বেশি করে। তবে যে ফলই খান না কেনো, গোটা খেলে বেশি উপকার পাবেন। ফলের রস বা ফল দিয়ে অন্য কোনও খাবার বানিয়ে খেলে কিন্তু চলবে না। বিশেষ করে বেরিজাতীয় ফল, কমলালেবু, আঙুর ওজন কমাতেও সাহায্য করবে।
প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার
প্রোটিন বেশি খেলে ওজন কমানো অনেকটা সহজ হয়ে যাবে। পিসিওডির ক্ষেত্রেও একই কথায় প্রযোজ্য। তাই প্রোটিনে সমৃদ্ধ খাবার বেশি বেশি করে খেতে হবে। মাছ, মাংস, ডিম ছাড়াও অনেক শাকসব্জি ও শস্যতেও প্রোটিন রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। সেগুলোও আপনি খেতে পারেন।
বাদাম
কাজুবাদাম, কাঠবাদাম, আখরোট পিসিওডি রোগীদের ওজন কমাতে সত্যিই কার্যকরী। প্রোটিন, মিনারেলস, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্টে সমৃদ্ধ বাদামগুলো ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অন্যতম ভূমিকা পালন করে। পিসিওডি রোগীদের ডায়েটে তাই বাদাম রাখতে হবে।
হরমোনের ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী ধরনের খাবার খাওয়া যাবে না
মিষ্টি পানীয়
দোকানে পাওয়া যায় এমন ধরনের মিষ্টি পানীয়, চিনি দেওয়া ফলের রস রক্তে শর্করা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। সেই কারণেই কিন্তু হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়ে থাকে।
অতিরিক্ত ক্যাফিন
ঠাণ্ডায় গা গরম রাখতে অনেকেই ঘন ঘন কফি খান। কফির মধ্যে যে পরিমাণে ক্যাফিন থাকে, তা হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করার জন্য কিন্তু যথেষ্ট।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
অনেকের মুখরোচক প্রক্রিয়াজাত খাবার খেতে নিশ্চয়ই ভালোই লাগে। তবে তার ঠেলা সামলাতে হয়তো জীবনও বেরিয়ে যেতে পারে। এই ধরনের খাবারের মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে লবণ, চিনি থাকে। যে কারণে রক্তে শর্করা, সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতেই পারে। যে কারণে হরমোনের মাত্রা বিঘ্নিত হওয়া অস্বাভাবিক কিছুই না। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জানুয়ারী ৭, ২০২৪ 12:26 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ১৯৫১ সালের নভেম্বর মাসে বিয়ে হয় ফে ও রবার্টের। বিয়ের…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৬ পৌষ ১৪৩১…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঘুম থেকে উঠেই সকাল বেলা দুধ চা খেতে বারণ করেছেন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ জনপ্রিয় গায়ক মনির খানের প্রথম অ্যালবাম ‘তোমার কোনো দোষ নেই’।…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ গাড়ি-ঘোড়ায় প্রবল এক সংঘর্ষ ঘটেছে ভারতের উত্তরপ্রদেশের বাগপতে। দিল্লি-সাহারানপুর হাইওয়েতে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৫ পৌষ ১৪৩১…