দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ চিকিৎসকরা বলেছেন, শীতের দাপটে অস্থিসন্ধির নমনীয়তাও কমে যেতে পারে। যে কারণে কাঁধ, ঘাড় বা কোমরের পেশিগুলো শক্ত হয়ে যায়।
পিছন থেকে হঠাৎ কেও ডাকলে ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাতে যাবেন, তবে ঘাড়ে এমন ব্যথা যে, সহজেই ঘোরাতেও পারছেন না। অনেক সময় শোয়ার দোষে ঘাড় কিংবা কাঁধের পেশিতে টান লাগতে পারে। তবে ঠাণ্ডাতেও অনেক সময় এই ধরনের ব্যথা বাড়তে পারে। কোমর নিচু করতে গেলেও কষ্ট হয় অনেক সময়।
এই বিষয়ে চিকিৎসকরা বলেছেন, শীতের দাপটে অস্থিসন্ধির নমনীয়তাও কমে যেতে পারে। যে কারণে কাঁধ, ঘাড় বা কোমরের পেশিগুলো শক্ত হয়ে যায়। নড়াচড়া করতেও কষ্ট হয়। শরীরে পানির অভাব হলেও এই ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তবে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলে এই ধরনের সমস্যা বশে আনতে পারবেন অনায়াসে।
গরমের পোশাক পরুন
আপনার শরীর গরম রাখলে এই ধরনের কষ্ট বশে থাকবে। তাই সোয়েটার, জ্যাকেট ছাড়াও প্রয়োজনে থার্মাল জাতীয় পোশাক পরতে হবে। ঘাড়ে কম্ফর্টারও জড়িয়ে রাখতে পারেন।
শরীরচর্চা করুন নিয়মিত
অস্থিসন্ধির নমনীয়তা বজায় রাখতে হলে নিয়মিত শরীরচর্চা করুন। পেশির জোর বাড়িয়ে তোলা থেকে দেহের সমস্ত অঙ্গই সচল রাখা সহজ হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলেও এই ধরনের ব্যথা কমে আসবে। শরীরচর্চা করলে দেহের ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
সুষম খাবার খাওয়া
ওষুধের উপর ভরসা না করে নিয়মিতভাবে ভিটামিন ডি, ক্যালশিয়াম, ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। সেইসঙ্গে প্রোটিন, ভিটামিন-যুক্ত খাবার খাবারের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে।
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি খাওয়া
পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না খেলে শরীর ডিহাইড্রেটেড হয়ে যেতে পারে। পেশির নমনীয়তা নষ্ট হওয়ার পিছনেও এই পানি কম খাওয়ার মতো কারণই দায়ী।
হিট প্যাড-এর ব্যবহার কম করুন
বয়স্কদের মধ্যে ব্যথা হলেই গরম সেঁক দেওয়ার প্রবণতাও দেখা যায়। তবে সমস্যা হলো, এই ধরনের ব্যথায় গরম সেঁক দিলে তা সাময়িক আরাম দেবে। পরে আবারও সেই ব্যথা ফিরেও আসতে পারে। তাই হিট প্যাড ব্যবহার না করাই উত্তম। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org