দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সারাক্ষণ চুল বেঁধে রাখলে নাকি চুল পড়ার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। তাই বলে সারাক্ষণ চুল খুলে রাখা ঠিক নয়। কারণ হলো, রাস্তার ধুলোবালি লেগে মাথার ত্বক, চুল নষ্ট হতে পারে।
শত ব্যস্ততার মধ্যেও চুলের যত্ন নিতে হবে। যে কয়েক গোছা চুল রয়েছে, সেগুলো যেনো অবশ্যই মাথায় থাকে। ঘুম থেকে উঠে নিত্যদিনই এই প্রার্থনা করেন। নামী-দামি তেল, শ্যাম্পু, সিরাম এমনকি নানা রকমের ট্রিটমেন্ট করেও কোনও কাজই হচ্ছে না। শুধু গাদাগুচ্ছের পয়সা খরচ হয়ে যাচ্ছে। সারাক্ষণ চুল বেঁধে রাখলে নাকি চুল পড়ার পরিমাণও বেড়ে যায়।
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস
ভাজাভুজি, অতিরিক্ত তেল-মশলা দেওয়া খাবার খেলেও অনেক সময় চুল পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়। শরীরে ভিটামিন, প্রয়োজনীয় নানা খনিজের ঘাটতি থাকলে চুল কোনও পুষ্টিই পাবে না। তাই সবুজ শাকপাতা, বাদাম, বীজ, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট- খাওয়া দরকার।
উদ্বেগ ও মানসিক চাপ
সাধারণ খুব বেশি মানসিক চাপ থাকলে শরীরে নোরপাইনফ্রাইন বলে এক ধরনের রসায়নিক তৈরি হয়ে থাকে। যে কারণে ফলিক্লগুলো ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও তাড়াতাড়ি চুল পেকেও যায়। তাই মানসিক চাপ কমাতে নিয়ম করে যোগাভ্যাসও করতে হবে। সেইসঙ্গে কাজের ফাঁকে সময় বের করে মন ভালো রাখার জন্য বেড়াতে যাওয়া, গানবাজনা করা, গান শোনার মতো কাজগুলোও করতে পারেন।
রাসায়নিকের ব্যবহার
চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যাচ্ছে। কোনওভাবেই পরিস্থিতি সামাল দেওয়াও যাচ্ছে না। তাই সালোঁয় গিয়ে চুলে একটা কায়দা করেই ফেললেন। রাসায়নিকের ব্যবহারে তৎক্ষণাৎ চুল একেবারেই ঝলমল করে উঠলো। তবে ওই কয়েকটা দিন। এরপর এমন চুল পড়তে আরম্ভ হবে যে, সেটি সামাল দেওয়া কঠিন হবে।
কম ঘুম
রাত জেগে ওয়েব সিরিজ় দেখার কারণে ঘুমের গোলমাল হচ্ছে? সকালে অফিসের তাড়নায় বেশ তাড়াতাড়ি উঠে পড়ছেন, যে কারণে ঘুম সম্পূর্ণ হচ্ছে কই? এই অভ্যাসের কারণেও অনেক সময় চুলে পাক ধরতে পারে।
শরীরচর্চার অভাব
চুল ভালো রাখতে গেলে শরীরে রক্ত চলাচল ভালো হওয়া দরকার। নিয়মিত শরীরচর্চা করলে তবেই রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। চুলের গোড়ায় অক্সিজেন পৌঁছায়। যে কারণে চুল পড়া কমে যাবে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org