দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ২২২ আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করলো আওয়ামী লীগ। বঙ্গভবনে নতুন সরকারের মন্ত্রীদের শপথ ও তাদের অভিষেক হয়। নতুন মন্ত্রিসভার মন্ত্রণালয় বণ্ঠন করা হলো।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় নতুন মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথ পড়ান। এর পূর্বে পঞ্চমবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথবাক্য পাঠ করেন শেখ হাসিনা। তাঁকেও শপথ পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বঙ্গভবনে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। বঙ্গভবনে শপথগ্রহণের ওই অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।
মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া ২৫ পূর্ণ মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্ঠন;—
পূর্ণ মন্ত্রীদের মধ্যে আ ক ম মোজাম্মেল হক- মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়
ওবায়দুল কাদের- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়
আবুল হাসান মাহমুদ আলী- অর্থ মন্ত্রণালয়
আনিসুল হক- আইন মন্ত্রণালয়
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন- শিল্প মন্ত্রণালয়
আসাদুজ্জামান খান- স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
মো. তাজুল ইসলাম- স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়
মুহাম্মদ ফারুক খান- বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয়
মোহাম্মদ হাছান মাহমুদ- পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
দীপু মনি- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়
সাধন চন্দ্র মজুমদার- খাদ্য মন্ত্রণালয়
আবদুস সালাম- পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
মো. ফরিদুল হক খান- ধর্ম মন্ত্রণালয়
র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী- গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়
নারায়ণ চন্দ্র চন্দ- ভূমি মন্ত্রণালয়
জাহাঙ্গীর কবির নানক- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়
মো. আবদুর রহমান- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়,
মো. আবদুস শহীদ- কৃষি মন্ত্রণালয়,
ইয়াফেস ওসমান- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় (টেকনোক্র্যাট)
সামন্ত লাল সেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় (টেকনোক্র্যাট)
মো. জিল্লুল হাকিম- রেলপথ মন্ত্রণালয়
ফরহাদ হোসেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়
নাজমুল হাসান- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়
সাবের হোসেন চৌধুরী- পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়
মহিবুল হাসান চৌধুরী- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া ১১ প্রতিমন্ত্রীর দপ্তর বণ্ঠন;—
নসরুল হামিদ- বিদ্যুৎ বিভাগ
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়
জুনাইদ আহমেদ- ডাক, টেলি যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়
জাহিদ ফারুক- পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়
সিমিন হোসেন রিমি- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়
কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা- পার্বত্য চট্টগ্রামবিষয়ক মন্ত্রণালয়
মহিববুর রহমান- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়
মোহাম্মদ আলী আরাফাত- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়
শফিকুর রহমান চৌধুরী- প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়
রুমানা আলী- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়
এবং আহসানুল ইসলাম- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি সারাদেশে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ জয়লাভ করে। আওয়ামী লীগ ২২২টি আসন ও স্বতন্ত্র ৬২টি আসন, জাতীয় পার্টি ১১টি আসন, শরিকজোট ২টি আসন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি একটি আসন পেয়েছে এবারের নির্বাচনে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org