দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশজুড়ে বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইলেকট্রিক ভেহিকেল – ইভি) বিস্তৃত চার্জিং নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে ১৬ জানুয়ারি সিজি রানার বাংলাদেশ লিমিটেড এবং জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
রাজধানী ঢাকার তেজগাঁওয়ে রানার গ্রুপের প্রধান কার্যালয়ে এই এমওইউ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিজি রানার বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান এবং প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. মোজাম্মেল হোসেন ও জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তানজিদুল আলম ও প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার সৈয়দ শফিকুল হাসান।
দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির (ইভি) ব্যবহার উৎসাহিত করতে সম্প্রতি চার্জিং স্টেশন স্থাপন নীতিমালাসহ নানা নতুন নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ২০৩০ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ বৈদ্যুতিক বাহন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ইলেকট্রিক মোটরযান রেজিস্ট্রেশন এবং চলাচল সংক্রান্ত নীতিমালা ২০২৩ গ্রহণ করা হয়েছে। এই লক্ষ্যপূরণে মানুষকে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে সারাদেশে ইভি চার্জিং নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।
এরই ধারাবাহিকতায়, জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড এই বছরের মার্চের মধ্যে রাজধানী ঢাকা এবং বিভিন্ন জাতীয় মহাসড়কে ১০টি চার্জিং স্টেশন স্থাপন করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। এই বছরের মধ্যে আরও বেশ কিছু চার্জিং স্টেশন স্থাপন করার মধ্যদিয়ে দেশজুড়ে টেকসই চার্জিং নেটওয়ার্ক স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। বর্তমানে, দেশে চারটি ইভি চার্জিং স্টেশন রয়েছে। এই অংশীদারিত্বের মধ্যদিয়ে সিজি রানার বাংলাদেশ লিমিটেডের ক্রেতারা তাদের বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন এবং স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক চার্জিং অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারবেন; সেইসঙ্গে, তারা চার্জ দেয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ অগ্রাধিকার পাবেন।
এই উদ্যোগের বিষয়ে রানার গ্রুপের চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, “স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যপূরণে আমরা সবাই একযোগে কাজ করে যাচ্ছি। যদিও, এক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন আমাদের নিরলস পরিশ্রমকে ব্যর্থ করে দিতে পারে। সিজি রানার বাংলাদেশ লিমিটেডে আমরা বিশ্বাস করি পৃথিবীকে সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে আমাদের সবার দায়বদ্ধতা রয়েছে। সমাজের উন্নতিতে আমাদের জ্বালানি ব্যবহার কমিয়ে এনে বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহারে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দেশব্যাপী চার্জিং স্টেশন নির্মাণে জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের সহযোগী হতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। বাংলাদেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির প্রসার বৃদ্ধিতে কাজ করা এবং চার্জিং স্টেশনের মাধ্যমে আমাদের ক্রেতাদের নিরবচ্ছিন্ন এবং স্বাচ্ছন্দ্যদায়ক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
এই বিষয়ে জেনেক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ তানজিদুল আলম বলেছেন, “সিজি রানার বাংলাদেশ লিমিটেডের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে এবং দেশজুড়ে চার্জিং স্টেশন স্থাপনের মতো বৃহৎ প্রকল্পে একযোগে কাজ করার সুযোগ পেয়ে আমরা অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত। আরও বেশি মানুষ বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহার শুরু করলেই চার্জিং স্টেশনের চাহিদা বেড়ে যাবে। আমাদের সুদক্ষ এবং নিবেদিত ইপিসি টিম এই প্রকল্প যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে প্রস্তুত রয়েছে।” খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org