দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ডিজিটাল পেমেন্টে বিশ্বের নেতৃস্থানীয় প্রতিষ্ঠান ভিসা- ভিসা অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামের চতুর্থ সংস্করণ শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে।
বাংলাদেশী ফিনটেক ও গ্রোথ-স্টেজ স্টার্টআপগুলোর কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ শুরু হয়েছে। ভিসার পেমেন্ট বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতায় বাংলাদেশের স্টার্টআপগুলোর সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করাই এই উদ্যোগের লক্ষ্য। এ বছরের সংস্করণে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), গ্লোবাল মানি মুভমেন্ট, লয়্যালটি অফ দ্য ফিউচারের মতো নতুন জায়গা (সুযোগ) সহ ডিজিটাল অ্যাক্সেপটেন্স ফর মাইক্রো, স্মল অ্যান্ড মিডিয়াম বিজনেসেস (এমএসএমবিএস) এবং এমবেডেড ফাইন্যান্সের মতো বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হবে।
এই প্রোগ্রাম চালুর বিষয়ে ভিসা বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের কান্ট্রি ম্যানেজার সৌম্য বসু বলেন, “সম্ভাবনাময় পেমেন্ট-সংক্রান্ত উদ্ভাবনগুলোকে ভিসা অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামে আমন্ত্রণ জানাতে পেরে আমরা আনন্দিত। ভিসার সহযোগিতায় তাদের সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আমরা আশাবাদী। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে স্টার্টআপগুলো আমাদের বিষয়-ভিত্তিক বিশেষজ্ঞদের সাথে কাজ করার এবং তাদের সল্যুশনগুলো বাস্তব বিশ্বের জন্য উপযোগী কিনা তা পরীক্ষা করার সুযোগ পাবেন। এমন সুযোগ প্রবৃদ্ধির পথকে সুগম করার ক্ষেত্রে অবদান রাখবে। গ্লোবাল পেমেন্টের ক্ষেত্রে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে একটি নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ অর্থ প্রবাহ (মানি মুভমেন্ট) পদ্ধতি তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য।”
সম্প্রসারণের পর্যায়ে আছে এমন সম্ভাবনাময় প্রতিষ্ঠানের জন্য তৈরি করা এই প্রোগ্রামটি বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দেয়। বাস্তবসম্মত কনসেপ্ট (প্রুফ অব কনসেপ্ট), খাত-সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধানে পণ্যের কার্যকারিতা (প্রোডাক্ট সল্যুশনিং) এবং পণ্যের দ্রুত বাণিজ্যিকীকরণের মতো বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হবে। এছাড়া, অংশীদারিত্বের সুযোগ তৈরি হবে, যার মাধ্যমে স্টার্টআপগুলোর প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে। এই প্রোগামে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের নির্বাচিত কিছু স্টার্টআপ পেমেন্ট ইকোসিস্টেম খাতের প্রতিবন্ধকতাগুলো নিয়ে কাজ করবে। প্রোগামে স্টার্টআপগুলোর জন্য থাকছে নতুন সল্যুশন (সমাধান) তৈরি ও পরীক্ষা করার সুযোগ; পাশাপাশি বাজারে নতুন সমাধান চলবে কিনা সেটা বোঝার জন্য ভিসার বিস্তৃত নেটওয়ার্ক (আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মার্চেন্ট ও ডিজিটাল অংশীদার) ব্যবহার করার সুযোগ পাবে স্টার্টআপগুলো। অভিজ্ঞ মেন্টর (পরামর্শদাতা), সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও বিনিয়োগের অফুরন্ত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনের মাধ্যমে অ্যাডভান্সড-লেভেল স্টার্টআপগুলোকে ধারাবাহিকভাবে সহায়তা করে যাচ্ছে ২০২০ সালে চালু হওয়া এই ভিসা অ্যাকসেলেরেটর প্রোগ্রামটি।
আবেদন শেষ হবে আগামী ৮ মার্চ। বাছাইকৃত স্টার্টআপগুলো এ বছরের মে থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত এই প্রোগ্রামের সাথে যুক্ত থাকবে। পরবর্তীতে ডেমো ডে’র মধ্য দিয়ে প্রোগ্রামটি শেষ হবে।
বিস্তারিত জানতে আগ্রহী ও আবেদন করতে ইচ্ছুক স্টার্টআপগুলো এই লিঙ্ক ভিজিট করুনঃ www.visa.com.sg/apaccelerator।
খবর সংবাদ বিজ্ঞপ্তির।
>>>>>>>>>>>>>>
মশা বাঢহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org
This post was last modified on জানুয়ারী ৩১, ২০২৪ 5:21 অপরাহ্ন
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীরচর্চার সব উপায়ের মধ্যে হাঁটাকেই বেশি গুরুত্ব দেন অনেকেই। তবে…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্কুল, শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির মধ্যে ঐক্য এবং একাত্মতা উদযাপনে আইএসডি…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আইফার্মার লিমিটেডের প্রধান কার্যালয়ে গত ৮ মে আইফার্মার লিমিটেড ও…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের অন্যতম শীর্ষ ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বঙ্গ’তে শীঘ্রই আসছে জনপ্রিয় মার্কিন…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় পাস করেছে ৮৩ দশমিক…
দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ২০২৪ সালের মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) এবং সমমান পরীক্ষার ফল…