পরিশ্রম না করেই ওজন কমে যাওয়া কী ভালো লক্ষণ?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ পরিশ্রম না করেই ওজন কমে যাওয়া কী ভালো লক্ষণ হতে পারে? কারণ বয়স, খাওয়া-দাওয়া, সব মিলিয়ে কোনও ব্যক্তি সারাদিনে কতোটা কায়িক পরিশ্রম করেন- এ সবের উপরেই নির্ভর করে এক জনের ওজন।

তবে অনিচ্ছাকৃত ওজন হ্রাস কিন্তু মোটেও ভালো নয়। কী কী কারণে এই অনিচ্ছাকৃত ওজন হ্রাস হতে পারেন, আজ রইলো সেই বিষয়ে কিছু পরামর্শ।

কারণ শরীর চাঙ্গা রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখাটা জরুরি। ওজন বেশি হলে হাজার রকম শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। ক্রনিক অসুখও তখন বাসা বাঁধে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে অনেকেই বিভিন্ন রকম নিয়ম, বিধি-নিষেধ মেনে চলেন। প্রতিদিন নিয়ম করে জিমে যান। পছন্দের খাওয়া-দাওয়ায় রাশ টানেন। দৌড়ঝাঁপ, হাঁটাহাঁটি, যোগাসন, প্রাণায়াম সবই করেন। ওজন ঝরাতে কিন্তু পরিশ্রম অনেক। তবে অনেক সময় দেখা যায়, কোনও রকম পরিশ্রম ছাড়া শরীরের ওজন ক্রমেই কমে যাচ্ছে। অনিচ্ছাকৃত এই ওজন হ্রাস শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। কোনও কারণ ছাড়াই ওজন হু হু করে কমতে থাকলে, অতি দ্রুত অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

Related Post

ডায়াবেটিস

অনেক সময় রক্তে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলেও কমতে পারে ওজন। ডায়াবেটিক রোগীদের মধ্যে ওজন কমে যাওয়ার প্রবণতা অনেক সময় দেখা যায়। ডায়াবিবেটিস মানেই হলো রক্তে ইনসুলিনের পরিমাণ কমে যাওয়া। ইনসুলিনের অভাবে শরীরে কোষগুলো নিজেদের সচল এবং শক্তিশালী রাখতে পেশি ও চর্বির সাহায্য নেয়। যে কারণে শরীরের সামগ্রিক ওজন তখন হ্রাস পায়।

মানসিক চাপ

অনেক সময় ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিংবা কাজের প্রবল চাপ থাকে- এতে মানসিক উদ্বেগ ও সেইসঙ্গে মানসিক চাপের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বাড়লে তখন বিপাক হারের উপর প্রভাব পড়ে। বিপাক ক্রিয়া আবার শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণও করে। তাই অত্যাধিক মানসিক চাপের মধ্যে থাকলেও অনেক সময় ওজন কমে যেতে পারে।

ক্যান্সার

ক্যান্সারে প্রাথমিক লক্ষণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ওজন কমে যাওয়া। যে কারণে ক্যান্সারে আক্রান্তদের মধ্যে ৪০ শতাংশ রোগীর ওজন হ্রাস পেতে দেখা যায়। বিশেষ করে খাদ্যনালি, অগ্ন্যাশয়, পাকস্থলী, ফুসফুসের ক্যান্সারের ক্ষেত্রেও ওজন হ্রাস পাওয়ার প্রবণতাও থাকে বেশি। তাই হঠাৎ ওজন কমে যাওয়াকে কখনওই হালকাভাবে নেওয়া মোটেও উচিত নয়। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ৫, ২০২৪ 4:37 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

সমুদ্রের মধ্যেও পাহাড়!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। বৃহস্পতিবার, ৯ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে

ডায়েটে প্রতিদিন সকালে অ্যাপর সাইডার ভিনেগার খাচ্ছেন? বেশি মাত্রায় খেলে কী ধরনের বিপদ হতে পারে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ রোগা হওয়ার জন্য অনেকেই দিনে ২ থেকে ৩ বার এই…

% দিন আগে

ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপের গ্লোবাল রাউন্ডে ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ঢাকা

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আঞ্চলিক রাউন্ডে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করায় ওয়ার্ল্ড স্কলার্স কাপের গ্লোবাল রাউন্ডের…

% দিন আগে

বেসিস নির্বাচনে ওয়ান টিমের সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয়লাভ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ দেশের তথ্যপ্রযুক্তিখাতের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড…

% দিন আগে

একইসঙ্গে দুই পর্দা ব্যবহার করা যায় এমন ল্যাপটপ!

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এবার এমন একটি ল্যাপটপ বাজারে এলো যা একইসঙ্গে একাধিক কাজ…

% দিন আগে

নতুন সিনেমায় যুক্ত হলেন মিষ্টি জান্নাত

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ঢাকাই সিনেমার বর্তমান সময়ের নায়িকা মিষ্টি জান্নাত অভিনীত বেশ কয়েকটি…

% দিন আগে