হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ব্যাকআপ করার নিয়ম জেনে নিন

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ বর্তমানে এই ইন্টারনেটের যুগে হোয়াটসঅ্যাপ হলো অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম। ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং হিসেবে হোয়াটসঅ্যাপ এর জনপ্রিয়তা সবথেকে বেশি। একাধিক দুর্দান্ত ফিচার ও সেইসঙ্গে শক্তিশালী নিরাপত্তার জন্যই এই অ্যাপটি পছন্দের তালিকায় শীর্ষে।

হোয়াটসঅ্যাপের ক্ষেত্রে আরও একটি বড় সুবিধা হলো মোবাইল পরিবর্তন করলে বা ফোন রিবুট করার পর নতুন করে হোয়াটসঅ্যাপ ইন্সটল করলেই, পুরনো হারিয়ে যাওয়া চ্যাট ফের পাওয়া সম্ভব। কারণ হলো চ্যাট ব্যাক আপ নেওয়ার সুবিধা রয়েছে এই অ্যাপটিতে।

প্রতিদিন অনেক মিডিয়া এবং চ্যাটের আদান-প্রদান হয় এই হোয়াটসঅ্যাপে। এগুলো ব্যাকআপ না করা হলে ডিভাইস পরিবর্তন করলে এইসব ডেটা পাওয়া যাবে না। যারা ব্যক্তিগত কাজের বাইরে পেশাদারি কাজে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে থাকেন, তাদের জন্য এটি আরও দুর্ভাগ্যজনক।

Related Post

কী কী ব্যাকআপ নেওয়া যাবে

যে কোনও চ্যাটই ব্যাক আপ নেওয়া যাবে। তারসঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপ এর মাধ্যমে যে ভিডিও ক্লিপ, অডিও নোট বা কোনও ছবি কিংবা যে কোনও রকম কন্টেন্ট আপডেট নেওয়া সম্ভব। তবে অধিকাংশ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারী শুধুমাত্র চ্যাট ব্যাকআপই করে থাকেন। কারণ হলো এতে ডেটা আরও কম খরচ হয়।

হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ব্যাকআপ কীভাবে করবেন

চ্যাট ব্যাকআপের জন্য প্রথমেই আপনাকে একটি গুগল অ্যাকাউন্ট থাকতে হবে। ওই অ্যাকাউন্টেই হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট ব্যাকআপ করতে হবে।

কীভাবে পুরো কাজটি সম্পন্ন করবেন?

প্রথমেই হোয়াটসঅ্যাপ লগ-ইন করে, সেটিংস অপশনে গিয়ে ক্লিক করতে হবে। তারপর সেখানে থাকবে চ্যাট ব্যাকআপ অপশনটি। ওই অপশনটিতে ক্লিক করতে হবে। তারপর ব্যাকআপ অপশনে ক্লিক করতে হবে। ব্যবহারকারী ইচ্ছে করলেই নিজের সুবিধামতো সময় আপডেট অপশন চালু রাখতে পারেন। যে কারণে নিজে থেকেই আপডেট হবে। আলাদাভাবে ম্যানুয়াল উপায়ে কোনও কিছুই করতে হবে না।

আবার যারা জি-ড্রাইভে হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ব্যাকআপ নিতে চান না কিংবা যারা তাদের সমস্ত অ্যাপ-সম্পর্কিত ডেটাগুলো কোনো নতুন ডিভাইসে সরাতে চান তখন ব্যবহারকারীদের কাছে ইনবিল্ড হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ব্যাকআপ ট্রান্সফার টুল ব্যবহার করার অপশনও থাকবে। যদিও এই টুলটির জন্য উভয় ফোন একই ওয়াই-ফাই কানেকশনে থাকা দরকার, এটি একটি সক্রিয় ইন্টারনেট সংযোগ ছাড়াই যাতে কাজ করতে পারে।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ১১, ২০২৪ 4:24 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

তাহসান দীর্ঘ ৮ বছর পর আবারও নতুন করে গাইলেন ‘কে তুমি’

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ ৮ বছর পূর্বে ‘কে তুমি’ শিরোনামে একটি গান গেয়েছিলেন জনপ্রিয়…

% দিন আগে

তীব্র উত্তেজনার মধ্যেই ইসরায়েলকে কড়া সতর্ক করলো ইরান

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মধ্যপ্রাচ্যে ইরান এবং ইসরায়েলের উত্তেজনা স্থায়ী সংঘাতে পরিণত হওয়ার শঙ্কার…

% দিন আগে

কেবলমাত্র এক শতাংশ মানুষ এই ধাঁধার সমাধান করতে পারবেন! তাহলে কী সেই ধাঁধা?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই ছবিতে দেখা যাচ্ছে লাইব্রেরিতে টেবিলের সামনে বই নিয়ে বসে…

% দিন আগে

কখনও কখনও প্রকৃতি আমাদের মুগ্ধ করে

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। সোমবার, ১৩ মে ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১…

% দিন আগে

নিয়ম না মেনে হাঁটলে সুফল পাওয়া দুষ্কর

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শরীরচর্চার সব উপায়ের মধ্যে হাঁটাকেই বেশি গুরুত্ব দেন অনেকেই। তবে…

% দিন আগে

কমিউনিটির মধ্যে বন্ধন গড়ে তুলতে আইএসডি ফেয়ার অনুষ্ঠিত

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ স্কুল, শিক্ষার্থী ও কমিউনিটির মধ্যে ঐক্য এবং একাত্মতা উদযাপনে আইএসডি…

% দিন আগে