দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ এই ধাঁধাটা কিন্তু মোটেও সংখ্যার নয়। অর্থাৎ ‘৪+৯= ১’ এটা সংখ্যার অঙ্ক দিয়ে ভাবলে কিন্তু চলবে না। ছবিটি ভালোভাবে দেখুন। তাহলেই বুঝবেন ছবিতে শুধু সংখ্যায় নয়, আরও একটি নজর করার বিষয়ও রয়েছে।
এই ৪ বা ৯ সংখ্যা গুলো লেখা হয়েছে মূলত দেশলাই কাঠি সাজিয়ে। আপনাকে এই ধাঁধারও সমাধান করতে হবে দেশলাই কাঠি দিয়ে।
ধাঁধাটি এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করা হয় ‘ইজ়ি ডেলি কুইজ়’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট হতে। তারা বলেই দিয়েছেন যে, এই অঙ্কটি কিন্তু নয়। তবে একই সঙ্গে জানতে চেয়েছে আপনি কী আসলেও অঙ্কটিকে ঠিক করতে পারবেন?
কীভাবে অঙ্কটি ঠিক করতে হবে সেই উপায়ও বলে দিয়েছেন প্রশ্নকর্তা। বলা হয়েছে যে, একটি মাত্র দেশলাই কাঠি সরিয়ে এই ধাঁধার সমাধান আপনাকেই করতে হবে।
তাহলে এবার বলুন তো এর জবাব কী?
কমেন্টে এর দু’রকম জবাব উঠে এসেছে। একটি হলো ৪+৩=৭ আরেকটি হলো -৪+৫=১।
তবে অনেকেই কিন্তু বলছেন দ্বিতীয়টিই ঠিক। কারণ এখানে শুধুমাত্র একটি দেশলাই কাঠি স্থানচ্যূত করলেই এর সমাধান হবে। অপরটির ক্ষেত্রে এককে সাত বানাতে বাকি দু’টি দেশলাই কাঠিকে একটু হলেও কিন্তু হেলাতে হবে। এই বিষয়টির সঙ্গে কী আপনি একমত নন? তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org