দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আইফোনের পর এবার স্যামসাং এর ল্যাপটপ বানাবে ভারত। স্মার্টফোনের দুনিয়ায় বিশ্বজোড়া খ্যাতি রয়েছে স্যামসাংয়ের। ল্যাপটপসহ অন্যান্য ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস বানিয়ে থাকে এই সংস্থাটি।
সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে যে, এবার ভারতে ল্যাপটপ তৈরি করবে স্যামসাং। যা কেন্দ্রীয় সরকারের ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অভিযানকে এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেও মনে করছেন অনেকেই।
ইতিমধ্যেই দেশটিতে গ্যালাক্সি এস২৪ সিরিজ স্মার্টফোন উৎপাদন শুরু করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার এই টেক জায়েন্ট। যা সম্প্রতি বিশ্ব বাজারে লঞ্চও করেছে সংস্থাটি। এবার সেই তালিকায় যোগ হচ্ছে ল্যাপটপ।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, নয়ডার কারখানাতে তৈরি করা হবে এই ল্যাপটপ। সেখানেই উৎপাদন ও অ্যাসেম্বেল হবে অত্যাধুনিক ল্যাপটপ। সংস্থাটির এক শীর্ষকর্তা সেই ইঙ্গিত দিয়েছেন। স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্স-এর প্রেসিডেন্ট টি এম রোহ জানিয়েছেন যে, ভারতে ল্যাপটপ উৎপাদনের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন তারা।
তিনি আরও জানিয়েছেন যে, মূলত ভারত তাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই প্রকল্পের জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রস্তরে অনেক সমর্থনও পেয়েছেন তারা। উৎপাদনে জোর দিতে দেশটির সরকারের সঙ্গে এই সহযোগিতা এগিয়ে নিয়ে যাবে স্যামসাং কর্তৃপক্ষ।
বর্তমানে ভারতে বিক্রি হওয়া স্যামসাং ল্যাপটপ চীন বা ভিয়েতনাম থেকে তৈরি হয়ে আসে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে দুই দেশের উপর নির্ভরশীলতা কমবে এই সংস্থাটির। সেইসঙ্গে একটি বড় মাইলস্টোন স্পর্শ করবে কেন্দ্রীয় সরকারের মেক ইন ইন্ডিয়া অভিযানটিও।
উল্লেখ্য, বিশ্বের বড় বড় টেক সংস্থা ইতিমধ্যেই ভারতে আসতে শুরু করে দিয়েছে। অ্যাপেলও ভারতে আইফোন বানানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। তবে স্যামসাং যে এই প্রথম ভারতে পা রাখলো তা অবশ্য নয়।
ভারতে ১৯৯৬ সালে প্রথম রিসার্চ এবং ডেভেলপমেন্ট সেন্টার খোলে স্যামসাং। বর্তমানে দেশটিতে ৭০ হাজারেরও বেশি কর্মচারী রয়েছে এই সংস্থাটির। বিশ্বের স্যামসাংয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম কারখানা অবস্থিত নয়ডায় এবং বিশ্বের বৃহত্তম রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্ট সেন্টার অবস্থিত বেঙ্গালুরুতে। যেখানে প্রায় ৩,৫০০ কর্মচারী কর্মরত রয়েছেন।
মাত্র কিছুদিন আগেও ভারতে নতুন স্মার্টফোন গ্যালাক্সি এস ২৪ সিরিজ লঞ্চ করে কোম্পানিটি। অ্যাপেল আইফোনকে টেক্কা দিতে বাজারে হাই-এন্ড স্মার্টফোন প্রকাশ করে স্যামসাং। যার প্রি-বুকিং শুরু হয়েছে গত ১৮ জানুয়ারি থেকে। এটিই বিশ্বের প্রথম এআই যুক্ত স্মার্টফোন বলে দাবি করে স্যামসাং। উন্নতমানের ক্যামেরা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ একগুচ্ছ অত্যাধুনিক ফিচার্স ও স্পেসিফিকেশনও রাখা হয়েছে এই গ্যালাক্সি এস ২৪ সিরিজ স্মার্টফোনটিতে।
>>>>>>>>>>>>>>
ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে
মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।
লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।
১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর
২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।
সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-
১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।
২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।
৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।
৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।
৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।
৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
৭. ত্বকে র্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।
রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :
১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।
২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।
এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
অপরদিকে
জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:
১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।
২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।
৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।
৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।
৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।
৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।
৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।
৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org