শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য: ড্রাই ফ্রুট্‌স খাওয়ালে কী কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময় হবে?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ সাধারণত ওষুধ খাওয়ালে কয়েক দিনের মধ্যেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা কমে যায়। ওষুধ বন্ধ করলে আবার যা তাই। শীতকালে এই কষ্ট আরও বেড়ে যায়। রক্তারক্তি কাণ্ড ঘটে যায় কখনও কখনও।

আপনার শিশু সন্তানটি হয়তো সবে মাত্র দশে পা দিয়েছে। এখন থেকেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা একেবারে নাজেহাল করে ছাড়ছে। কিছুতেই পানি খেতে চায় না। ধরে বেঁধেও শাক-সব্জি খাওয়াতে পারেন না। কলা দেখলেই দৌড়ে পালায়। ওষুধ খাওয়ালে কয়েক দিন ভালো থাকে। ওষুধ বন্ধ করলেই আবার যা তাই। শীতকালে এই কষ্ট আরও বেড়ে যায়। রক্তারক্তি কাণ্ডও ঘটে মাঝে-মধ্যে। যে কারণে জোর করে ইসবগুল খাওয়ানোর চেষ্টা করেছেন। তাতেও খুব একটা ফল হয়নি। উল্টো বমি করে ভাসিয়েছে ঘর-বাড়ি। খাওয়া-দাওয়ার অনিয়ম, পর্যাপ্ত পানি না খাওয়ার জন্য শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া খুবই স্বাভাবিক। তবে নিয়মিত পানিতে ভেজানো ড্রাই ফ্রুট্‌স খেলে এই ধরনের সমস্যা বশে রাখা যাবে। এই খাবার খেতে শিশুরা খুব একটা আপত্তি করে না। কী কী খাওয়াবেন? জেনে নিন আজ।

কিশমিশ

Related Post

ফাইবার, সর্বিটল ও টারটারিক অ্যাসিডের মতো প্রয়োজনীয় বেশ কিছু উপাদান রয়েছে এই কিশমিশে। এটি কোষ্ঠ পরিষ্কার করতেও সাহায্য করে।

আলুবোখরা

আলুবোখরা প্রাকৃতিক ‘ল্যাক্সেটিভ’ হিসাবেও পরিচিত। পানিতে ভেজানো আলুবোখরা কিংবা সেই পানি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়।

শুকনো ডুমুর

সহজপাচ্য ফাইবারের উৎসই হলো শুকনো ডুমুর। পানিতে ভেজানো ডুমুর তাই অন্ত্র ভালো রাখতে বিশেষভাবে কার্যকর। এছাড়াও, সেলুলোজ় ও পেক্‌টিন নামক দু’টি ল্যাক্সেটিভ রয়েছে আলুবোখরাতে। যা কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

খেজুর

প্রাকৃতিক শর্করা ও ফাইবারের উৎস হলো এই খেজুর। কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখতে এই দু’টি উপাদানের যথেষ্ট ভূমিকাও রয়েছে। এছাড়াও, খেজুরে আরও রয়েছে পটাশিয়াম। হজম সংক্রান্ত সমস্যা হলে সেটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে।

খোবানি

কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখতে নিয়মিতভাবে খাওয়া যেতে পারে পানিতে ভেজানো খোবানি। ফাইবার ও প্রাকৃতিক সর্বিটলে সমৃদ্ধ এই ফলটি শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা অনলাইন।

>>>>>>>>>>>>>>

ডেঙ্গু প্রতিরোধ করবেন যেভাবে

মশা বাহিত একপ্রকার ভাইরাস জ্বর হলো ডেঙ্গু। এই জ্বর অন্যান্য ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত জ্বর থেকে ভিন্ন। অবশ্য এই জ্বর কোনোভাবেই ছোঁয়াচে নয়। এই ভাইরাস জ্বর এককভাবে বা অন্যান্য ভাইরাস (চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার, বার্মা ফরেস্ট, ফ্লু, রেসপাইরেটরি সিনসাইটিয়াল) এবং ব্যাকটেরিয়া (নিউমোক্কাস)-এর সঙ্গেও হতে পারে।

লক্ষণ ও জ্বরের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে ডেঙ্গুজ্বরকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে।

১. সাধারণ ডেঙ্গুজ্বর

২. রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বর।

সাধারণ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে চোখে পড়ে মূলত নিচের এই লক্ষণগুলো-

১. হঠাৎ করে তীব্র জ্বর ও তা ২ থেকে ৭ দিন স্থায়ী হওয়া।

২. তীব্র মাথাব্যথা হওয়া।

৩. চোখের পেছনের অংশে ব্যথা হওয়া।

৪. জ্বরের সঙ্গে সঙ্গে সারা শরীরে লালচে ফুসকুড়ি চোখে পড়া।

৫. সম্পূর্ণ শরীরে তীব্র ব্যথা ও সেইসঙ্গে কোমরে ব্যথা।

৬. বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।

৭. ত্বকে র‌্যাশ বা লাল দানা দানা দেখা দেওয়া।

রক্তপাতসহ ডেঙ্গুজ্বরের ক্ষেত্রে :

১. ২ থেকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্র জ্বর সঙ্গে নাক, মুখ বা বমির সঙ্গে রক্ত যাওয়া।

২. জ্বরের পাশাপাশি বুকে বা পেটে পানি জমে যাওয়া।

এইসব লক্ষণের যে কোনো একটি লক্ষণ দেখা দিলেই দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।

অপরদিকে

জ্বরের প্রথম ৩ দিন বাড়িতে অপেক্ষা করুন। অপরদিকে সারা শরীর পানি দিয়ে স্পঞ্জ করুন কিছুক্ষণ পরপর। এতে করে জ্বরের মাত্রা কমে আসবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান ও বিশ্রাম নিতে হবে। এরপরেও জ্বর না কমলে বা কিছু সময় পরপর বাড়তে থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন।

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয় বিষয়:

১. বাড়ির আশপাশ যতোটা সম্ভব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে চেষ্টা করুন।

২. ঘরের ভেতরে থাকা ফুলের টব বা ভাঙা প্লাস্টিকের বোতল, ডাবের খোসা, টায়ার অথবা পলিথিন থাকলে তা দ্রুত পরিষ্কার করে ফেলুন ও ফুলের টব থেকে জমে থাকা পানি নিষ্কাশন করুন।

৩. মশা নিধনের জন্য সপ্তাহে অন্তত ৩ বার স্প্রে বা ফগিং করুন।

৪. বাড়ির বাইরে যাওয়ার সময় মশা নিধনে ব্যবহৃত ক্রিম সঙ্গে রাখতে পারেন।

৫. সন্ধ্যার পর বাড়ির ছোট থেকে বড় সদস্যরা মশারি ব্যবহার করুন।

৬. যেখানে-সেখানে জমে থাকা বৃষ্টির পানি পরিষ্কার করে ফেলুন, কারণ এতে এডিস মশা ডিম পেড়ে থাকে এই সময়।

৭. অপরদিকে মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে মশারির সঙ্গে সঙ্গে ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন।

৮. এডিস মশা যেহেতু দিনের বেলা কামড়ায় তাই দিনের বেলায় ঘুমানোর সময় অবশ্যই মশারি টানিয়ে ঘুমানোর দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সূত্র: https://dmpnews.org

This post was last modified on ফেব্রুয়ারী ২০, ২০২৪ 6:28 অপরাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার

Recent Posts

রাজবাড়ী বড় মসজিদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ শুভ সকাল। শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪ খৃস্টাব্দ, ৩০ কার্তিক ১৪৩১…

% দিন আগে

পুষ্টিবিদরা যা বলেন: সুজি খাওয়া উপকারী নাকি ক্ষতিকর?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ অনেকই সুজি খেতে খুবই ভালোবাসেন। তাই তারা প্রতিদিন সুজির পায়েস,…

% দিন আগে

বাংলা এবং হিন্দিতে ‘দরদ’-এর ট্রেলার ও গান প্রকাশ [ট্রেলার]

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ প্রথমবারের মতো প্যান ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র বানিয়েছেন নির্মাতা অনন্য মামুন। ঢালিউড…

% দিন আগে

মুরগির লেগপিস প্রতিদিন খাওয়া কী ভালো?

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ আপনার যদি প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার অভ্যাস থাকে, তাহলে জেনে রাখুন,…

% দিন আগে

উপদেষ্টা নাহিদকে নিয়ে নানা অপপ্রচার: সাবধান করেছেন সমন্বয়ক মাসউদ

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’- এর অন্যতম সমন্বয়ক…

% দিন আগে

ইলন মাস্ককে এক লাখ সরকারি চাকরি বাতিলের দায়িত্ব দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প

দি ঢাকা টাইমস্ ডেস্ক ॥ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নবনিযুক্ত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিশ্রুতি দেন…

% দিন আগে